মোঃ আব্দুল আউয়াল শোয়েব ঃকিশোরগঞ্জে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা,মামলা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে আজ ১০ নভেম্বর, ২২ ইং ষ্টেশন রোডে অবস্থিত দলীয় কার্য্যলয়ে সংবাদ সন্মেলন করার সময় দলে দলে নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়ে ব্যাপক জনসমাগম গড়ে তোলে। পরিণত হয় বিক্ষোভ সমাবেশে। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে চলা বিক্ষোভে রাস্তার দুপাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করলেও তারা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। বিএনপির নেতারা দুপুর ১২টার দিকে অবরোধ সরিয়ে নিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, গত সোমবার (৭ নভেম্বর) জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে তাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ বেধড়ক লাঠিপেটা করে এবং গুলি চালায়। এতে দলের অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ উল্টো দলীয় নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা করে। পুলিশের ভয়ে কেউ বাড়িতে ঘুমাতে পারছেন না। এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা, ময়মনসিংহ বিভাগের দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, সহসাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেস আলী মামুন, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতি শরীফুল আলমসহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।গত সোমবার জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের অনুষ্ঠান ঘিরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে জেলা যুবদলের সভাপতি খসরুজ্জামান শরীফসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। ঘটনায় ওইদিন রাতে পুলিশ বাদী হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৭০ জনের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা করে।