নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ কামরুল ইসলাম। ন্যামতপুর স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক৷ গত ৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় ওই শিক্ষকের স্ত্রী রিমা আক্তারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে করিমগঞ্জ থানা পুলিশ। পরে গত ৭ অক্টোবর স্ত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় কিশোরগঞ্জের আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। জেল হাজতে থাকলেও সহকারী শিক্ষক হিসেবে ওই স্কুল এন্ড কলেজে তিনি বহাল তবিয়তে আছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় গত ২ নভেম্বর চাকরি বিধিমালা ২০১৮ এর ৩৯ ধারা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রিমা আক্তারের বাবা মোঃ বিল্লাল মিয়া। অভিযুক্ত মোঃ কামরুল ইসলাম মিঠামইন উপজেলার নবাবপুর গ্রামের মৃত জজ মিয়ার ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দেড় বছর আগে কামরুল ইসলামের সাথে বিল্লালের মেয়ে মোছাঃ রিমা আক্তার স্মৃতির বিয়ে হয়। গত ৬ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে ন্যামতপুর স্কুল এন্ড কলেজের আবাসিক বাসায় কামরুল ইসলামের প্ররোচনায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে রিমা আক্তারের বাবা বিল্লাল মিয়া বাদী হয়ে মোঃ কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৩০৬ ধারায় করিমগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। এদিকে থানা পুলিশ গত ৭ অক্টোবর মোঃ কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করলে আদালতের বিচারক তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। মোঃ কামরুল ইসলাম ফৌজদারী মামলায় হাজতে যাওয়ায় তার বিরুদ্ধে চাকুরী বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩৯ ধারা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিল্লাল মিয়া।
অভিযোগকারী বিল্লাল মিয়া বলেন, কামরুলের পরকীয়া সম্পর্কের কারণে পরিবারে কলহ লেগেই থাকতো। আমার মেয়ে মারা যাওয়ার আগে চিরকুটে সবকিছু লিখে রেখে যায়। ওই চিরকুটে লিখা ছিলো কামরুলের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের কথা। আমার মৃত্যুর জন্য কামরুল দায়ী। আমি তার বিচার চাই।
ন্যামতপুর স্কুল এন্ড কলেজ সূত্রে জানা গেছে, কামরুল ইসলাম ২০২৪ সালের মে মাসে এনটিআরসি নিয়োগের মাধ্যমে যোগদান করেন। পরে বিএড প্রশিক্ষণ নিতে ২০২৫ সালের মে মাসে স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ১ বছরের ছুটি নেন। তবে ন্যামতপুর স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক শামসুল ইসলাম বলছেন, ইতিমধ্যে কামরুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামছুন নাহা মাকছুদা বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।