মোঃ মিজানুর রহমান
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য পরিদর্শক (ইনচার্জ) মো. বোরহান উদ্দীনের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ এনেছেন তাঁরই সহকর্মীরা। এসবের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রশিক্ষনের টাকা আত্মসাৎ, হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গে অসদাচরণ ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ।
এসব অভিযোগের প্রতিকার চেয়ে গত ২২জুন জেলার সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন ভুক্তভোগীরা। ৪৮জন স্বাস্থ্য্য সহকারী ও সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক সাক্ষরীত আবেদনটিতে স্বাস্থ্য পরিদর্শককে অপসারণের দাবীও জানানো হয়েছে।
আবেদনের প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, উপ-পরিচালক (প্রশাসন), মহাপরিচালকের ব্যাক্তিগত সহকারী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, হাসপাতালের মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের টাকা, এইচ,পি,ভি টিকা ক্যাম্পেইনের টাকা, করুনা টিকাদান ক্যাম্পেইনের টাকা থেকে শুরু করে সব ধরণের প্রশিক্ষনের টাকা আত্মসাৎ করে আসছেন পরিদর্শক মো. বোরহান উদ্দীন।
এছাড়া তুচ্ছ কারণে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারীদের সঙ্গে অশালীন বাক্য ব্যবহার করে অপমানিত ও অপদস্ত করে আসছেন। নারী সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের সঙ্গেও কুরুচিপূর্ণ বাক্য ব্যাবহার করে তাদের মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছেন।
অভিযোগ পত্রে সাক্ষরকারী সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক মোহাম্মদ হাসান ফারুক বলেন, অভিযোগপত্রে আমরা ৪৮জন স্বাক্ষর করেছি। নাম, পদবী ও মোবাইল নম্বর দিয়ে প্রত্যেকে জেনে-বুঝে-দেখে স্বাক্ষর করেছি। তাঁর অভিযোগ, বোরহান উদ্দীন স্বাস্থ্য পরিদর্শকের দ্বায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই আমাদের সঙ্গে অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ ভাষা ব্যাবহার করে অপমান অপদস্ত করে আসছেন। দীর্ঘদিনও তাঁর আচরণ পরিবর্তন না হওয়ায় আমরা বাধ্য হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি। আমরা তাঁর অপসারণের দাবি জানাচ্ছি।
পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য পরিদর্শক (ইনচার্জ) মো. বোরহান উদ্দীন তাঁর বিরুদ্ধে তোলা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে কোন অনিয়ম-দুর্নীতি প্রমাণিত হলে কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নিবে আমি তা মেনে নেব।
কিশোরগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. অভিজিত শর্ম্মা মুঠোফোনে জানান, আমি ঢাকায় প্রশিক্ষনে আছি। প্রশিক্ষন শেষে অফিসে এসে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেব। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর সে অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।