1. admin2@kalernatunsangbad.com : admin : Admin
  2. admin@kalernatunsangbad.com : Khairul Islam :
শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ১১:০৭ অপরাহ্ন

জেন্ডার সমতা ও জলবায়ু জোটের অর্ধবার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত

  • প্রকাশ কাল শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫
  • ৬ বার পড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :-
কিশোরগঞ্জে জেন্ডার সমতা ও জলবায়ু জোটের অর্ধবার্ষিক সভা হয়েছে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পপি’র আওতাধীন এ সংক্রান্ত প্রকল্পের আয়োজনে, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও সুইডিশ দূতাবাসের সহযোগিতায় আজ ১৭ মে শনিবার সকালে জেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন দৈনিক সমকালের জেলা প্রতিনিধি মোস্তফা কামাল।
প্রকল্প কর্মকর্তা শাহীন হায়দারের সঞ্চালনায় সভায় প্রকল্প সম্পর্কে সবিস্তারে ধারণা তুলে ধরেন প্রকল্প সমন্বয়কারী মনোয়ার হোসেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেন্ডার সমতা ও জলবায়ু জোটের কর্মকর্তা জেলা মহিলা পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট মায়া ভৌমিক, সাধারণ সম্পাদক আতিয়া হোসেন, ক্যাব সভাপতি নিউ নেশন পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আলম সারোয়ার টিটু, এপিপি অ্যাডভোকেট শাহীনূর কলি পপি, মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড সম্পাদক অ্যাডভোকেট হামিদা বেগম, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়েপের নির্বাহী পরিচালক মিজানুর রহমান রিপন, নিকলী থেকে আসা মোবারক হোসেন প্রমুখ।
সভায় নারী নির্যাতন, বাল্যবিয়ে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা, পিছিয়ে থাকা এলাকার মানুষদের আয় বর্ধক কর্মসূচিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। কিভাবে বয়স লুকিয়ে ভুয়া জন্ম নিবন্ধন বানিয়ে বাল্যবিয়ের আয়োজন করা হয়, বিয়ের জন্য অসৎ কাজীরা কিভাবে প্রকৃত ও ভুয়া-দুই রকমের কাবিন রেজিস্টার ব্যবহার করেন, এসব বিষয়ে তথ্য প্রমাণসহ বিস্তারিত আলোচনা হয়। সভায় বলা হয়, অনেকে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ছেলে-মেয়ের বয়স বাড়িয়ে বিয়ের আয়োজনের চেষ্টা করেন। অথচ নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বয়স বাড়ানো বা কমানো, বিয়ে দেওয়া ও তালাক দেওয়ার আইনত কোন বিধান নেই বলে সভায় জানানো হয়।
অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে হলে, বিশেষ করে মেয়েদের শারীরিক ও মাসনিকসহ কী রকম নানামাত্রিক ভয়াবহ পরিণতি হয়, এসব বিষয়েও দৃষ্টান্তসহ আলোচনা করা হয়। এ বিষয়ে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে সচেতন করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সেই সাথে দুর্যোগ মোকাবেলা ও ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি জলবায়ুর পরিবর্তন ঠেকানোর জন্য জনগণকে সচেতন করার ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়। এ ছাড়া পিছিয়ে থাকা এলাকাসমূহের জনগোষ্ঠীকে বিভিন্ন উপায়ে আয়বর্ধক কর্মসূচিতে নিয়োজিত করার ওপর আলোকপাত করা হয়। দরিদ্র পরিবারগুলোর পারিবারিক সহিংসতা ও অশান্তির অন্যতম কারণ হিসেবে অভাব অনটনকে দায়ী করা হয়। তাদেরকে নিয়মিত আয়ের উৎসের পাশাপাশি অন্যান্য আয়বর্ধক কর্মসূচীতে নিয়োজিত করতে পারলে নারী নির্যাতন ও পারিবারিক সহিংসতা অনেকাংশে কমে আসবে বলে সভায় মত প্রকাশ করা হয়।

শেয়ার করুন

অন্যান্য সংবাদসমূহ


প্রযুক্তি সহায়তায় BTMAXHOST