1. admin2@kalernatunsangbad.com : admin : Admin
  2. admin@kalernatunsangbad.com : Khairul Islam :
রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
ময়মনসিংহের চর নিলক্ষীয়ায় পুলিশের উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হোসেনপুরে ব্রহ্মপুত্র ও নরসুন্দা নদে নাব্যতা সংকট বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন পঞ্চগড় জেলা শাখার কমিটি অনুমোদন ময়মনসিংহের চরাঞ্চলে অনুষ্ঠিত হলো রশি টান ফাইনাল খেলা হোসেনপুরে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনায় প্রাথামিক শিক্ষার বেহাল দশা, ২৭ স্কুলে নেই প্রধান শিক্ষক মামলা তুলে না নিলে খুন জখমে হুমকি নিরাপত্তাহীনতায় দরিদ্র দিনমজুর পরিবার নান্দাইল ও মধুপুর প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের যৌথ মতবিনিময় সভা হোসেনপুরে গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে সমাবেশ হোসেনপুরে হিমাগারে বিএডিসির আলুবীজের জায়গা মিলেনা কৃষকদের হাওর অঞ্চলে পথচারী কৃষক ও শ্রমিকদের মাঝে ইসলামী আন্দোলনের শরবত বিতরণ
শিরোনাম
ময়মনসিংহের চর নিলক্ষীয়ায় পুলিশের উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হোসেনপুরে ব্রহ্মপুত্র ও নরসুন্দা নদে নাব্যতা সংকট বাস্তবতার আয়না বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন পঞ্চগড় জেলা শাখার কমিটি অনুমোদন ময়মনসিংহের চরাঞ্চলে অনুষ্ঠিত হলো রশি টান ফাইনাল খেলা হোসেনপুরে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনায় প্রাথামিক শিক্ষার বেহাল দশা, ২৭ স্কুলে নেই প্রধান শিক্ষক মামলা তুলে না নিলে খুন জখমে হুমকি নিরাপত্তাহীনতায় দরিদ্র দিনমজুর পরিবার নান্দাইল ও মধুপুর প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের যৌথ মতবিনিময় সভা হোসেনপুরে গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে সমাবেশ হোসেনপুরে হিমাগারে বিএডিসির আলুবীজের জায়গা মিলেনা কৃষকদের

হোসেনপুরে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনায় প্রাথামিক শিক্ষার বেহাল দশা, ২৭ স্কুলে নেই প্রধান শিক্ষক

  • প্রকাশ কাল শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৪ বার পড়েছে


সঞ্জিত চন্দ্র শীল
হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ): স্থানীয় শিক্ষা প্রশাসনের অনিয়ম, দুর্নীতি অব্যবস্থাপনা, যথাযথ নজরদারির অভাব, ২৭টি স্কুলে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকাসহ নানা কারণে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।তাই দিন দিন শিক্ষার মানও নিম্নগামী হচ্ছে। এতে উপজেলার বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা এখন কিন্ডারগার্টেন ও মাদ্রাসামুখি হয়ে পড়ছে। ফলে সরকারের বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম ভেস্তে যাচ্ছে।
সূত্র মতে, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১১০টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে । যার মধ্যে সাতাশটি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। মূলত: প্রাথমিক শিক্ষাই শিশুদের মুল ভিত্তি হলেও কতিপয় শিক্ষা কর্মকর্তা,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষকের অবহেলা এবং সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির কারণে শিক্ষা কার্যক্রম ভেঙ্গে পড়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়,বিগত ১৭ বছরে বিভিন্ন কোটা ও দলিয় সুপারিশসহ অর্থের বিনিময়ে নিয়োগকৃত অধিকাংশ অযোগ্য শিক্ষক নিয়োগ হওয়ায় বিদ্যালয় গুলোতে উপযুক্ত পাঠদানে ব্যর্থতা, অনিয়মিত উপস্থিতি, দায়িত্বহীনতা ও অব্যবস্থাপনায় প্রাথমিক শিক্ষার চরম দুরাবস্থা বিরাজ করছে। এতে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে দিন দিন ছাত্রছাত্রী সংখ্যা কমে গিয়ে প্রাইভেট স্কুল,কিন্ডারগার্টেন কিংবা মাদ্রাসামূখি হচ্ছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এসব কোমলমতি শিশুরা।
সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহকালে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক মোঃ আলাউদ্দিন জানান, গত ১০ বছর যাবত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতি না হওয়ায় এ শূন্যতা দেখা দিয়েছে। ২৭টি সকুলে সহকারী শিক্ষকের পদে থেকে প্রধান শিক্ষকের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করায় প্রশাসনিক দক্ষতার অভাবে মান সম্মত শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা ব্যাহত হচ্ছে। ওইসব প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয়ের নিয়ম শৃঙ্গলা ও পাঠদান কার্যক্রমেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। অন্যদিকে অনেক প্রধান শিক্ষক ও মহিলা শিক্ষকরা নিজ এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে চাকুরী করায় কর্মক্ষেত্রে অনেকেই স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠছেন। এ সময় উপজেলার বাসুরচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রের অভিভাবক বদরুন নাহারসহ অনেকেই জানান, ক্লাসে ডায়েরী লিখা, হাতের লিখাসহ দৈনিক পড়া-লিখা আদায় করার নিয়ম থাকলেও এসব কিছুই হচ্ছে না। ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের মনোযোগ কমে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষকরা অফিসে কাজ থাকার কথা বলে নিজের বাড়িতে কিংবা অন্য স্থানে দৈনন্দিন কাজে ব্যস্ত সময় পার করেন। সেই সুযোগে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও নিজেদের ইচ্ছেমত ক্লাস কিংবা বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করছেন । এতে শ্রেণী ব্যবস্থাপণাও ভেঙে পড়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তারাও প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের বিদ্যালয় সমুহ নিয়মিত পরিদর্শন না করার কারণে কাঙ্ক্ষিত প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন হচ্ছেনা। ফলে শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে প্রাইভেট -কোচিং নির্ভর হয়ে পড়ছে। অনেকেই আবার নিজ সন্তানদের সরকারী স্কুলে ভর্তি করেও মানসম্মত শিক্ষার আশায় প্রাইভেট স্কুল কিংবা কিন্ডারগার্টেনে পাঠাতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।আর এসব কারণে হোসেনপুরে প্রাথমিক শিক্ষা বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। তাই ভুক্তভোগী অভিবাবকসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করে জরুরী প্রতিকার দাবি করেছেন।
হোসেনপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ নুরুল ইসলাম শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার বিষয়ে কোনো সদুত্তর না দিয়ে বলেন,’আমি প্রধান শিক্ষক সংকটের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতি মাসেই প্রতিবেদন দিচ্ছি, কিন্তু ইহার কোন সমাধান পাচ্ছি না।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাহিদ ইভা জানান, ‘এসব বিষয় আমি খতিয়ে দেখছি, প্রাথমিকের শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের কোন অবহেলা কিংবা অনিয়ম ধরা পড়লে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তবে অভিভাবকদেরকেও সচেতন থেকে শিক্ষার মান উন্নয়নে সার্বিক সহযোগীতা করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শেয়ার করুন

অন্যান্য সংবাদসমূহ


প্রযুক্তি সহায়তায় BTMAXHOST