নিজস্ব প্রতিবেদক : কিশোরগঞ্জ জেলা সদর ষ্টেশান রোডস্থ হেলথ এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগীর টাকা ক্লিনিকের স্টাফ দিয়ে চুরি করানো ও রোগীকে প্রান-নাশের হুমকি দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য দায়ী অন্যতম হোতা তৎকালীন আওয়ামীলীগের এমপি ও রাষ্ট্রপতির আশীর্বাদ পুষ্ট মিঠামইনের লিটু । অবশেষে মামলা ও কোর্ট থেকে পালালো সেই নার্স এ নিয়ে তোলপাড় চলছে কিশোরগঞ্জে।

বিভিন্ন সময়ে ভুক্তভোগীর দায়েরকৃত অভিযোগ ও আজকের জজকোর্টের ঘটে যাওয়া ঘটনায় জানাযায়, মিঠামইন এলাকার লিটু নামের হেলথ এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ও চুরির সাথে সরাসরি জড়িয়ে থাকা নার্স রিয়া তার বাড়ি মিঠামইনে আর ও-ই সময়ে আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ-র বাড়ি মিঠামইনে এমনকি কিশোরগঞ্জ ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি সাবেক এমপি রেজুয়ান আহমেদ তৌফিক ওনার বাড়িও মিঠামইনে ফলে ক্লিনিক মালিক লিটুর লোকজনকে দিয়ে বিভিন্ন অপকর্মের ঘটনায় কোন প্রতিবাদকারী ছিল না।
আর সকল অপকর্ম সহজে সমাধান করে ফায়দা নিতে পারতেন লিটু গংরা। লিটুর অপকর্মের সহায়ক ছিল ০১৭১৮৫৯১২২৩ নাম্বারে আতিক পরিচয়ে মোবাইলে হুমকি বার্তা দিত। এবং মামুন নামের সিন্ডিকেট আমার বাড়িতে গিয়েও হুমকি দিয়ে আসত।

এমন এক ঘটনা ঘটেছে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার সগরা এলাকার ভুক্তভোগী শাহানার সাথে ।
জানাযায়, তিনি অসুস্থ হলে ১৭/১২/২০২১সালে চিকিৎসা নিতে হেলথ এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি হন এবং ২৩/১২/২০২১ তারিখ সকালে শাহানার রুম থেকে নগদ টাকা, মোবাইল, স্বর্ণালংকার চুরি হয়৷ চুরির সাথে ক্লিনিক এর লোকজন জড়িয়ে থাকা ভিডিও থাকার পরও এ ঘটনায় ক্লিনিক মালিক পক্ষ কোন সমাধান না করে উল্টো শাহানাকে মিথ্যা বানোয়াট অপবাদ ও মামলাসহ প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে লিটু গংরা। এ বিষয়ে লিটুর লোকজনের অপরাধের বিরুদ্ধে গত ২৩/১২/২০২১ তারিখে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন শাহানা যাহার নং- ১০৭৭।
জিডির দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশ অফিসার জিডির তদন্তে গিয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হন এবং অভিযান চালিয়ে মোবাইলসহ কিছু আলামত উদ্ধার করে।
আলামত উদ্ধারের পর লিটু গংরা আরও বেপরোয়া হয়ে আবারও হুমকি দেয় এর ফলে আমি গত ১৩/৪/২০২২ পুনরায় কিশোরগঞ্জ থানায় জিডি করি যার নং-৬৬১।
এসব বিষয় আমি কোন ফল না পেয়ে গত ২৭/০৪/২০২২ কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার ও জেলা প্রসাশক এমনকি সিভিল সার্জন বরাবর অভিযোগ দায়ের করলেও আওয়ামী লীগের ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাকে সুবিচার থেকে বঞ্চিত করে হয়রানি করেছে লিটু গংরা।পরে বাধ্য হয়ে কিশোরগঞ্জ জজকোর্ট মামলা দায়ের করি।
উক্ত মামলায় চলমান অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার ধার্য তারিখ ছিল এবং সেই তারিখে হেলথ এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দায়িত্বে থাকা নার্স রিয়া কিশোরগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল মেজিষ্টেড রাশেদুল আলমের আদালতে আপোষের শর্তে জামিন নিতে আসে।
কিন্তু বাদীপক্ষ তাতে আপওি করলে আসামি রিয়া তা টের পেয়ে কোর্ট থেকে হাজিরা না দিয়ে পালিয়ে যায় বলে জানান সংশ্লিষ্ট আইনজীবী ও সহকারী।