আবু হানিফ পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পাকুন্দিয়ায় ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষনা করা হয়েছে।
বুধবার (৮ মে) রাত সাড়ে নয়টায় পাকুন্দিয়া উপজেলা হলরুমে ফলাফল ঘোষনা করা হলে তিনপদে (চেয়ারম্যান,ভাইস-চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান) প্রদত্ত ভোটের ব্যাপক তারতম্য দেখা যায়।তাৎক্ষনিক পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম রেনু প্রতিবাদ জানিয়ে ফলাফল স্থগিত রাখার অনুরোধ করেন।উপস্থিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিল্লাহ হোসেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এমন অজুহাতে সবাইকে হল রুম ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়ে চলে যান।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায় চেয়ারম্যান পদে প্রদত্ত ভোট-৭০৩৩৪, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে প্রদত্ত ভোট-৭৫৪১৬,মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান পদে প্রদত্ত ভোট -৭০২০৬।
প্রায় ৫০০০(পাচ হাজার) ভোটের তারতম্য দেখা যায়।যা একেবারে কাম্য নয়।যদিও তিন পদে প্রদত্ত ভোটের হিসাব সমান থাকার কথা ছিল।
পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম রেনু কেন্দ্র দখল ও ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ঘঠিকায় পাকুন্দিয়া উপজেলা সদর ঈদগাহ মাঠে সাংবাদিক সম্মেলন করেন।সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রফিকুল ইসলাম রেনু বলেন বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে আমার এজেন্ট বের করে দিয়ে কেন্দ্র দখল করা হয়।আমি প্রতিকার চেয়ে বার বার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে মোবাইল ফোনে এবং নিজে গিয়ে অভিযোগ জানানোর পরেও কোন ব্যবস্থা নেয় নি প্রশাসন।কালিয়াচাপড়া চিনিকল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সাংবাদিকদের জিম্বি করে জাল ভোট প্রদান করা হয়।এছাড়াও পাটুয়াভাঙা সব কয়টি কেন্দ্রে এবং এগারসিন্দুর কয়েকটি কেন্দ্রে জাল ভোট দিতে দেখা।তিনি অভিযোগ করে বলেন স্থানীয় সাংসদ এড.সোহরাব সাবের প্রত্যক্ষ মদদে ভোট কারচুপি, কেন্দ্র দখল,ভোটগ্রহণ কারী কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রভাবিত করাসহ এহেন অপকর্ম করা হয়।আমি এই নির্বাচন বাতিল করে আবার নতুন নির্বাচনের অনুরোধ করছি।অথবা ফলাফল পূর্ননিরক্ষেন আবেদন জানাচ্ছি।
আরেকজন পরাজিত প্রার্থী আতাউর রহমান সোহাগ ভাইস চেয়ারম্যান প্রাথী দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করে ফলাফল বর্জন করেন।তিনি বলেন কেন্দ্র দখল,আমার কর্মীদের মারদর ও ভয়ভীতি দেখানো, ফলাফল পরিবর্তন সবই স্থানীয় সাংসদের নির্দেশে করা হয়েছে।আমি এই ফলাফল মানি না।হয় নির্বাচন দিন না হলে ভোট পূর্ন গননা করুন।