হুমায়ুন রশিদ জুয়েল
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সূচিত পথ ধরে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশের টেকসই অগ্রযাত্রা ও আর্থ সামাজিক উন্নয়নে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্ম প্রয়াসে দেশে উৎপাদিত ডিম, দুধ ও মাংসের মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ করে চলছে।
প্রানিসম্পদ সেক্টর গ্রহণ করা হচ্ছে আধুনিক লাগসই প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন নতুন প্রকল্প।
হাওর এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ ও জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার হাওর অঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করে।
এ প্রকল্পের মাধ্যমে হাওর অঞ্চলেের ৭টি জেলার ৫৩ টি উপজেলার বেকার ও দরিদ্র যুবসম্প্রদায় বিশেষত নারী জনগোষ্ঠীকে দারিদ্র দূরীকরণ তথা আত্মকর্মসংস্থান ও নারীর ক্ষমতায়নে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।
তারেই ধারাবাহিকতায় কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (SDG) অর্জন করার লক্ষ্যে তাড়াইল উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পাশাপাশি হাওর অঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প কাজ করে যাচ্ছে। এবিষয়ে তাড়াইল উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডাঃ নূরজাহান বেগমের সাথে কথা হলে তিনি জানান, উক্ত উপজেলায় হাওর অঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১০০০ হাজার সুফলভোগী পরিবার রয়েছে ।
তাদের মধ্যে ৪০০ জন নারী ১৫টি হাস ও একটি হাঁসের ঘর এবং ইতিমধ্যে ১১৩ কেজি খাবার এবং কৃমিনাশক, ভিটামিন ও মিনারেল প্রিমিক্স দিয়েছেন।
৩৬৬ জনকে ১টি ঘর ও ১৫টি মুরগী সহ ১০০কেজি খাবার দিয়েছেন।
১০০ জনকে ২০০টি ছাগল – ছাগীএবং ১০০জনকে ২০০ ভেড়া -ভেড়ী বিনা মূল্যে প্রদান করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এতে করে ১০০০ পরিবারের মধ্যে হাস, মুরগি, ছাগল এবং ভেড়া লাগন পালন করে, তাদের পরিবারে মধ্যে আর্থিক সচ্ছল বৃদ্ধি পেয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে তালজাঙ্গা ইউনিয়ন এর L. F. F, মোঃ নাছির উদ্দিন এবং সুফলভোগীদের সাথে কথা হলে তারাও এমনটাই জানিয়েছেন এবং তাদের দাবি এই প্রকল্প চলমান থাকলে হাওর অঞ্চলের দরিদ্র পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতার পাশাপাশি সরকারের এসডিজি গড়ার লক্ষ্য বাস্তবায়ন হবে।