হুমায়ুন রশিদ জুয়েল : কিশোরগঞ্জে তাড়াইল উপজেলা সাররং গ্রামের মো: জহিরুল ইসলাম ব্রয়লার পোল্টি মুরগির ডিলার ও একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছেন বলে জানা গেছে, বর্তমানে উচ্চশিক্ষিত হয়েও সিংহভাগ শিক্ষিত লোক বেকারত্বের অভিশাপের শিকার। বেকারতার এই বেড়াজাল থেকে মুক্তি পাওয়ার লক্ষ্য প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলের ছেলে মো: জহিরুল ইসলাম বেড়ে ওঠা অজপাড়া সাররং গ্রামের উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন, এই লেখা পড়ার দিয়ে খুব বেশি দূরে এগোনো যাবে না, নিজের মধ্যে এমন একটা ধারণা তৈরি হয়,
সেই চিন্তা চেতনার লক্ষ্যে, তিনি লেখা পড়ার পাঠ চুকিয়ে মনোনিবেশ করেন ক্ষুদ্র ব্রয়লার পোল্ট্রি খামার। যা শিক্ষিত বেকারদের জন্য এক অতুলনীয় দৃশ্যমান, অদম্য নিরলস প্রচেষ্টায় তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন এই পোল্ট্রি ফার্ম।
এর আগেও অন্য আরো একটা গল্প রয়েছে। বেশি টাকা আয়ের নেশায় ২০০০ সালে সবজির সবজির ব্যবসা শুরু করেন টানা কয়েক বছর করার পর তিনি মোড় গুরিয়েছেন ব্রয়লার পোল্টি মুরগীর খামারি ব্যবসা পুরোদমে শুরু করেন মুরগি লালন পালন।
বর্তমানে প্রায় জায়গায় গড়ে তুলেছেন বিশাল আকৃতির খামার। সেখানে হাজারেরও বেশি ব্রয়লার পোল্টি মুরগি পালন করা হয়। ৫০ হাজার টাকায় শুরু করা ফার্ম থেকে এখন প্রায় লাখ টাকা ইনকাম করছেন। ১০ থেকে ১৫ জন বেকারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার স্বপ্ন দেখেন তিনি।
সফল উদ্যোক্তা জহিরুল ইসলাম জানান, ব্যবসার শুরুটা ছিলো আমার স্বপ্নের মতো। শত বাঁধা আর প্রতিকূলতার মধ্যেও আমি দমে যাইনি, নিরাশ হইনি। যেখানে আমি বেকারত্ব নিয়ে দিশেহারা ছিলাম, সেখানে আজ আমি ১০ থেকে ১৫ জন যুবকের বেকারত্ব দূর করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি। আরও কিছু জায়গায় অন্যন্য ফার্ম দিতে ইচ্ছা পোষণ করছি। ব্যবসায় সম্ভাবনার পাশাপাশি কিছু সমস্যার কথাও জানান তিনি ।
তিনি বলেন, একটা সময়ে এ ব্যবসায় অনেক বেশি লাভ করা যেত। এ ব্যবসার আয় দিয়ে সংসার চালিয়ে ২ ছেলেকে লেখা-পড়া করাচ্ছি। শহরে বাড়ি করেছি। বর্তমানে মুরগীর ঔষধ বাইরে থেকে আনতে বেশী টাকা দাম পড়তো তাই নিজেই একটা ভেটেনারী খুলেছি আমার খামারের পাশাপাশি অন্য খামারি সল্প মুল্যে ঔষধ নিতে পারছে।আগে ঔষুধ কিনতে কিছুটা বেগ পেতে হতো। কোন কোন মাসে লাভের বদলে লোকসানও গুনতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, বড় বড় উদ্যোক্তাদের কারণে আমাদের মতো মাঝারি বা ছোট উদ্যোক্তাদের টিকে থাকা কষ্টের হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা বাজার দখলে নিয়েছেন। তারা বেশি উৎপন্ন করে কম দামে বেশি বেশি বিক্রি করে পুষিয়ে নেন। আমাদের মতো ক্ষুদ্র বা মাঝারি উদ্যোক্তাদের চাহিদা কম। আমরা কম উৎপন্ন করছি, কিন্তু বেশি দামে বিক্রি করতে পারছি না।
অনেক বছর ধরে কাজ করছেন শাহআলম , হাসেম ও জুলু মিয়া নামের তিন জন। তাদের খামারই যেন আসল বাড়ি। খামারের পোল্টি মুরগীর সঙ্গেই তাদের বেশি সখ্যতা। নিজের সন্তানের মতোই লালন-পালন করে আসছেন খামারের। মুরগীর অসুখ-বিসুখে চিকিৎসক ডাকা, সময় মতো ওষুধ খাওয়ানো, ইঞ্জেকশান দেয়াসহ যাবতীয় কাজ করে থাকেন তারা নিজেরাই।
তাড়াইল উপজেলা কৃষি কর্মকতা জানান,….. উপজেলা কৃষি বিভাগ সব সময়ই উদ্যোক্তা তৈরি করার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন। মোঃ জহিরুল ইসলাম আজ একজন সফল উদ্যোক্তা। তাকে দেখে অনেকের শিক্ষা নেয়া উচিৎ। নিজের খামারেই শত শত বেকারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যায়।
এর পাশা পাশি মোঃ জহিরুল ইসলাম সামাজি কর্মকান্ডের পাশাপাশি একটি দ্বিতল মসজিদের কাজ একাই নিজ গাড়ে তোলে নির্মাণ করছেন এতে ব্যয় হবে প্রায় ৩০ লাখের বেশী, ছাদের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে, নামাজের উপযুক্ত করার জন্য বাকি টাকা প্রয়োজন, তাই তিনি সমাজের উদ্যোক্তাদের সু দৃষ্টি কামনা করছেন। বাহির থেকে কিছু দান আসলে অতি দ্রুত সমজিদের কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে, তিনি মনে করেন ।