নিজস্ব প্রতিবেদক :
কিশোরগঞ্জে ট্রাফিক পুলিশের চোখ ফাকি দিয়েই চলছে পৌরসভায় লাইসেন্স বিহীন অবৈধ অটো রিকসা।
কিশোরগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় অবৈধ অটোরিকশা চলাচলের কারণে যানজটের চরম ভোগান্তিতে পৌরবাসী।
বিভিন্ন অভিযোগ ও সরজমিনে ঘুরে দেখা যায় হলুদ বাহিনী যানজটের নিরসনে কিছুটা ভূমিকা রাখলেও সরিষায় রয়েছে ভূত সেই হলুদ বাহিনীর এক অংশের ছএছায়ায় ঘরে উঠেছে, কিছু অবৈধ অটোরিকশা। বৈধ কারীর রূপে চলাকালের ভিন্ন রকম কৌশল অনেক চালক বলেন হলুদ রং মাখা দেখতে পৌরসভার অনুমোদনকৃত এই গাড়িটির পূর্বের মালিকের লাইসেন্স ছিল গাড়ির মালিকানা পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন হয়নি রং। হলুদ বাহিনীর সদস্যের ইশারায় চলাচলের সুযোগ পাচ্ছে তারাও। ফলে মাসিক মাসোহারা দিয়ে পার হওয়ার সুযোগ তারাই করেন বলে অভিযোগ করছেন বৈধ গাড়ির মালিক পক্ষ। সরজমিনে পৌরসভার এলাকা ঘুরে দেখা যায় গাইটাল, বাসস্ট্যান্ড, হাসপাতাল বটতলা, পুরানথানা, একরামপুর মোড়, ধানমহাল, জাহাঙ্গীরের মোড়, মোরগমহাল সহ প্রায় ১৬ টি অটোস্ট্যান্ডের স্পট রয়েছে। সেই স্পট মূলত শহর যানজটের নিরসনের কথা থাকলেও হচ্ছে তার উল্টো।
বরং এসব স্পটে দায়িত্বে থাকা স্থানীয় কমিটি, হলুদ বাহিনী, পৌরসভার পরিচয় দানকারী কিছু অসাধু মিলে অবৈধ গাড়ি চলাচলের সুবিধা দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বাহিনী নিজেরাই প্রয়োজন মত মনগড়া চাদা আদায়ের মাধ্যমে যেখানে সেখানে যাত্রী তোলার সুবিধা করে দিচ্ছেন। ফলে শহরের রাস্তায় যানজট লেগেই থাকে। পাচ মিনটের রাস্তা যেতে সময় লাগে এক ঘন্টা। পৌরসভা কর্তৃপক্ষের দাবী পৌরসভা এলাকায় মাত্র ছয়শত অটোরিকশার লাইসেন্স থাকলেও বাহিরের হাজার হাজার অটোরিকশা ও মিশুক গাড়ী শহরে যানজট তৈরী করছে। সেই সাথে সমিতির নামে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মাসিক মাসোহারার নামে অবৈধ গাড়ী বৈধ রুপে চলছে ।
সম্প্রতি কিশোরগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের দায়ীত্বে থাকা ( টিআই) শাহজাহানের নির্দেশে এটিএসআই রফিকুল ইসলাম খানের অভিযানে কিশোরগঞ্জ বটতলা পৌরসভার লাইসেন্স দারী রংয়ের ১০টি গাড়ির লাইসেন্স চেক করলে সামনে আসে আরো ভয়াবহ চিত্র। দশটি গাড়ীর পৌরসভার নিয়ম অনুযায়ী রং থাকলেও মাত্র চারটি গাড়ীর লাইসেন্স মিলেছে। আর ছয়টি গাড়ি অবৈধ ভাবে পৌরসভার গাড়ীর মত সাজিয়ে গুজিয়ে চলার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে । কিশোরগঞ্জ সচেতন মহলের দাবী কি করে পৌর সভার গাড়ির মত তারাও রং লাগিয়ে চলে। দায়িত্বরত কর্তৃপক্ষের নীরবতা কেন? অবৈধর মাঝে বৈধতা দেওয়ার কারিগরদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবী করেন তারা। ট্রাফিক বিভাগের একটি সূত্রের দাবী পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ছয়শত গাড়ি অনুমোদন দিলেও অনেক সময় একই নাম্বারে দ্বিতীয় গাড়ীর সন্ধান মিলে থাকে তখন আমরা এসব গাড়িকেও আটক করি। পাশাপাশি একটি সিন্ডিকেট গাড়ির কাগজ হারিয়ে গেছে বলে থানায় জিডি করে। জিডির ফটোকপি লেমিনেশন করে তা দিয়েও ২/৩ টি গাড়ি চালায়। এমনকি পৌরসভার লাইসেন্সধারী গাড়ী বিক্রি করলেও সে আরেকটি গাড়ি রং করে রাস্তায় চলাচল করে।
আরেকটি সিন্ডিকেট একটি গাড়ির কাগজ দিয়ে কয়েকটি ব্যবহার করে কোন গাড়ি আটক হলে বলে কাগজ বাসায় সেই কাগজ এনে গাড়ি নিলেও রয়ে যায় অবৈধ আরও গাড়ি।
সব মিলিয়ে কিশোরগঞ্জ শহর এখন অটোরিকশার শহরে পরিণত হয়েছে। তাছাড়া অটোরিকশা লাইসেন্স কেনা বেচার ফলে কয়েকটি সিন্ডিকেট এখন লাইসেন্সের মালিক।
সরকারি নীতি মালা পৌরসভার লাইসেন্সের মেয়াদ ১ বছর সে হিসেবে গত ৩ বছর আগে দেয়া গাড়ির লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হলেও পৌর কর্তৃপক্কের উদাসীনতা সরকার হারাচ্ছে বছরে প্রায় অর্ধকোটি টাকার রাজস্ব। কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পারভেজ মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, অটো রিকসা লাইসেন্স দেয়া হয়েছে ৬০০। নতুন লাইসেন্স দেয়া বন্ধ পৌরসভার কোন লোক অটোরিকশার অবৈধ কোন কার্যকলাবে জড়িত নয়। যানজট নিরসনের জন্য সরকারি ভাবে পুলিশ কর্তৃপক্কের লোক নিয়োজিত রয়েছে। এ বিষয়ে টি আই প্রসাশন মো. শাহজাহান বলেন, আমি আমার লোকজন নিয়ে শহর যানজট মুক্ত রাখার জন্য সকল ধরনের কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের অভিযানে বৈধরূপী অবৈধ গাড়ি চিহ্নিত করে মামলা দিয়ে আটক করছি সেই সাথে অবৈধ গাড়ির মামলা আটক নিয়মিত হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ ব্যাটারীচালিত ইজিবাইক মালিক সমিতির সভাপতি ও সম্পাদককের দাবি তাদের সমিতির হলুদ বাহিনীর ১৪ জন লোক নিয়মিত পুলিশের সাথে সহায়তা করছে। অবৈধ গাড়ির বিষয়ে সভাপতি কামাল বলেন, লাইসেন্স আছে ঠিকই কিন্তু তা সাথে না রাখায় অনেক গাড়ির জরিমানা হয়েছে। অন্য দিকে কিশোরগঞ্জ পৌর ইজিবাইক মালিক শ্রমজীবি সমিতির সভাপতি বাবুল বলেন বৈধ ৬০০ গাড়ির মাঝে চলে ৫০০মতো ও সম্পাদক আলমগীরের দাবি অবৈধ অটোরিকশা শহরে অহরহ প্রবেশ করছে মাসিক মাসোহারার বিনিময়ে। আমরা দাড়িয়ে থেকে পুলিশের হাতে অনেক পৌরসভার লাইসেন্স বিহীন দেখতে পৌরসভার গাড়ির মতো অনেক গাড়ি আটক করতে পেরেছি। ঠিক তখনই সাংবাদিকদের সামনে ২ টি গাড়ি আটক করে পৌরসভার লাইসেন্স ধারী রংয়ের মতো কিন্তু একটার লাইসেন্স নেই অটো চালকরা বলেন হলুদ বাহিনীর লোকের ভাড়া লাইসেন্স দিয়ে তারা গাড়ি চালাতো এখন লাইসেন্স নেই রং ঠিকই আছে এভাবেই চলে কিছু দিয়ে । মাসিক মাসোহারা বন্ধ হলেই পৌরসভা এলাকায় অবৈধ গাড়ি বন্ধ করা সম্ভব। বিভিন্ন সময়ে আটককৃত অটো চালকদের অভিযোগ আমরা অবৈধ মাইক্রো,বাস গুলো কি সব বৈধ তাদেরকে তো অটোরিকশার মতো আটক বা মামলা দেয়া হয় না।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: আল-আমীন বলেন,
পৌরসভার এলাকার যানজট নিরসনের জন্য আমরা আন্তরিক ভাবে কাজ করে যাচ্ছি অবৈধ অটোরিকশাসহ বিভিন্ন গাড়ির বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান ও মামলা প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।