তৌকির আহাম্মেদ হাসু, স্টাফ রিপোর্টার:
জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার বালিজুরি ইউনিয়নের সুখনগরী দীপচর নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে।স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি আজাদ মিয়ার নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে একটি শক্তিশালী বালু সিন্ডিকেট, যা বছরের পর বছর ধরে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও পরিবেশ ধ্বংস করে যাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,মাদারগঞ্জ উপজেলার সুখনগরী গ্রামের আজাদ মিয়া নদী থেকে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ বালু তুলছেন।তিনি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে তিনটি স্থানে বালুর মহাল তৈরি করেছেন।এসব বালু মাহিন্দ্র ও ট্রাকযোগে বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে।
প্রতিদিন এই বালু বিক্রি করে তিনি লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন,অথচ সরকারি রাজস্বের একটি টাকাও রাষ্ট্রীয় কোষাগারে যাচ্ছে না।স্থানীয়ভাবে বালু পরিবহনে ব্যবহৃত যানবাহনগুলোর অবিরাম চলাচলে সড়কগুলোও ভেঙে গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আজাদ মিয়া ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের অজুহাত ও প্রভাবশালী মহলের আশ্রয়ে এই অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে আসছে।দিন-রাত ড্রেজার চলে, বালু ওঠে ট্রাকভর্তি করে।সবাই দেখে, কিন্তু কেউ কিছু বলে না।এমন অবস্থায় সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলেছে — প্রশাসন কি সত্যিই অন্ধ, নাকি নীরব থেকেও সুবিধাভোগী?
অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে নদীর তীরবর্তী জমিগুলো মারাত্মক ভাঙনের শিকার হচ্ছে। ইতোমধ্যে নদীর পাড় ঘেঁষে থাকা কয়েক একর ফসলি জমিতে ফাটল দেখা দিয়েছেও কয়েক একর জমি ভেঙ্গে নদীর গর্ভে চলে গেছে।
একজন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক বলেন,এইভাবে ড্রেজার চালালে আগামী মৌসুমেই আমাদের জমি নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।আমরা কিছু বললেও ভয় পাই — আজাদ মিয়ার লোকজন হুমকি দেয়।
স্থানীয় সচেতন মহল ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন,আমরা চাই, এই অবৈধ বালু ব্যবসায়ী আজাদ মিয়ার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। না হলে সুখনগরী নদী ও আমাদের ফসলি জমি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক- খায়রুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক - সোহেল রানা
সম্পাদকীয় কার্যালয়- ৫২২ আইনুল্লাহ স্কুল রোড, স্বল্পমারিয়া, বএিশ, কিশোরগঞ্জ।
০১৯১২৫৫০৭২৭,০১৭২৪৫৭৪২১৭
Copyright © 2025 কালের নতুন সংবাদ. All rights reserved.