1. admin2@kalernatunsangbad.com : admin : Admin
  2. admin@kalernatunsangbad.com : Khairul Islam :
সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৪৪ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার “জিয়া সাইবার ফোর্সের” সভাপতি খায়রুল সাধারণ সম্পাদক জুয়েল হাসপাতালে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, ৩ জনকে অর্থদণ্ড ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংবাদিক ইউনিয়ন : সাংবাদিকদের ঐক্যের নতুন দিগন্ত কটিয়াদীতে হোটেলের বাথরুম থেকে বাসচালকের লাশ উদ্ধার বিভিন্ন অভিযোগে তাড়াইল বিএনপির একাংশের সংবাদ সম্মেলন ময়মনসিংহ সিপিএসসি র‍্যাব ১৪ কর্তৃক অপহৃত ভিকটিম উদ্ধারসহ প্রধান আসামি গ্রেপ্তার পৈতৃক সম্পত্তি দাবি করে মাদ্রাসার ৩০ শতাংশ জমি দখলের অভিযোগ বিএনপির ৪০ জন নেতা জামায়াতে যোগদানের অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন কটিয়াদীতে সুজনের নবযাত্রা শুরু, আহ্বায়ক কমিটির প্রথম সভা সম্পন্ন আউচ সংবাদ-এর ৫ম বর্ষপূর্তি উদযাপন: সম্মাননা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
শিরোনাম
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার “জিয়া সাইবার ফোর্সের” সভাপতি খায়রুল সাধারণ সম্পাদক জুয়েল হাসপাতালে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, ৩ জনকে অর্থদণ্ড ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংবাদিক ইউনিয়ন : সাংবাদিকদের ঐক্যের নতুন দিগন্ত কটিয়াদীতে হোটেলের বাথরুম থেকে বাসচালকের লাশ উদ্ধার বিভিন্ন অভিযোগে তাড়াইল বিএনপির একাংশের সংবাদ সম্মেলন ময়মনসিংহ সিপিএসসি র‍্যাব ১৪ কর্তৃক অপহৃত ভিকটিম উদ্ধারসহ প্রধান আসামি গ্রেপ্তার পৈতৃক সম্পত্তি দাবি করে মাদ্রাসার ৩০ শতাংশ জমি দখলের অভিযোগ বিএনপির ৪০ জন নেতা জামায়াতে যোগদানের অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন কটিয়াদীতে সুজনের নবযাত্রা শুরু, আহ্বায়ক কমিটির প্রথম সভা সম্পন্ন আউচ সংবাদ-এর ৫ম বর্ষপূর্তি উদযাপন: সম্মাননা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সহযোগী কর্মকর্তাদের ঘাঁটি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর

  • প্রকাশ কাল শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৬১ বার পড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক;

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সহযোগী কর্মকর্তাদের ঘাঁটি এখন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে (ডিপিই)। ৫ আগস্টের আগে যেসব আওয়ামী সুবিধাভোগী কর্মকর্তারা ছিলেন তারা তো এখনো আছেনই তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন পতিত আওয়ামী সরকারের আমলে প্রভাবশালী মন্ত্রীর পিএস, ডিসিরাও। অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে এধরণের সুবিধাভোগী ও সহযোগীদের সরানো হলেও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর হয়ে উঠেছে আওয়ামী কর্মকর্তাদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ শুধু পুনর্বাসনই নয়, বরং আওয়ামী পন্থী ও সুবিধাভোগী কর্মকর্তাদের বসানো হয়েছে পরিচালখসহ গুরুত্বপূর্ণ পদেও। আর সরকারি কর্মকর্তাদের তিন বছর পর পর বদলির যে বিধান রয়েছে তাও মানছে না প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পিইডিপি-৪) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ১৮তম ব্যাচের অতিরিক্ত সচিব। তিনি আওয়ামী আমলে নিয়মিতভাবে পদোন্নতি পেয়ে এই পদে রয়েছেন। তিনি ২০২১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত রেলমন্ত্রীর একান্ত সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। অথচ তাকেই প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ডিপিই’র পরিচালক (প্রশাসন) শাহীনুর শাহীন খান বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ২০তম ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি আওয়ামী আমলে নিয়মিতভাবে পদোন্নতি পেয়ে যুগ্মসচিব পদে আসীন হয়েছেন। তাঁর বাড়ি চাঁদপুরে। আওয়ামী লীগ নেতা ডা. দীপু মনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি থাকাকালীন তিনি তার পিএস এর দায়িত্ব পালন করেন।

ডিপিই’র পরিচালক (আইএমডি) মো. লুৎফুর রহমান বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ২২তম ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি আওয়ামী আমলে নিয়মিতভাবে পদোন্নতি পেয়ে যুগ্মসচিব পদে আসীন হয়েছেন। তিনি এর আগে এই দপ্তরের পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) এর দায়িত্ব ছিলেন। তখন বদলিতে বড় ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠে। এরপর তাকে বিভাগ পরিবর্তন করে দেওয়া হয়।
ডিপিই’র পরিচালক (প্রশাসন) শাহীনুর শাহীন খান বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ২০তম ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি আওয়ামী আমলে নিয়মিতভাবে পদোন্নতি পেয়ে যুগ্মসচিব পদে আসীন হয়েছেন। তাঁর বাড়ি চাঁদপুরে। আওয়ামী লীগ নেতা ডা. দীপু মনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি থাকাকালীন তিনি তার পিএস এর দায়িত্ব পালন করেন।

ডিপিই’র পরিচালক (আইএমডি) মো. লুৎফুর রহমান বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ২২তম ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি আওয়ামী আমলে নিয়মিতভাবে পদোন্নতি পেয়ে যুগ্মসচিব পদে আসীন হয়েছেন। তিনি এর আগে এই দপ্তরের পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) এর দায়িত্ব ছিলেন। তখন বদলিতে বড় ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠে। এরপর তাকে বিভাগ পরিবর্তন করে দেওয়া হয়।
হাসান বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ২১তম ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি আওয়ামী আমলে কুমিল্লাসহ দুটি জেলার ডিদি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি আওয়ামী সরকারের সময় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর পিএস হিসেবে হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার আপন ছোট ভাইও আওয়ামী আমলে আরেকটি জেলার ডিসি ছিলেন। ডিপিই’র পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মিরাজুল ইসলাম উকিল বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ২১তম ব্যাচের কর্মকর্তা। তার বাড়ী গোপালগঞ্জ হওয়ায় তিনি বিগত সরকারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে অনেক সুবিধা নিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ৫ আগস্টের আগে যেসব কর্মকর্তা সিন্ডিকেট করে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ও বদলী বাণিজা করতো তারা কিছুদিন নীরব থেকে আবারও একই কাজ শুরু করেছেন। অন্য যেসব কর্মকর্তা ফ্যাসিস্ট আমলে বঞ্চিত ছিলেন তাদের অবস্থা বর্তমানে আরও শোচনীয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের শিক্ষা অফিসার মো. শরিফুল ইসলাম। তিনি সারাদেশের শিক্ষকদের বদলী বিষয়গুলো দেখেন। অনলাইন বদলীর নাম করে তার বিরুদ্ধে বড় ধরনের বাণিজ্যের অভিযোগ আগে থেকেই। তিনি এখন আবারও সেই কাজই করছেন। অথচ বর্তমান প্রশাসন এতো অভিযোগের পরও তাকে স্বপদে বহাল রেখেছেন।

সূত্র জানায়, আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান। তিনি শিক্ষা অফিসার হিসেবে নিয়োগ শাখার দায়িত্বে আছেন। আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তা হিসেবে সাধারণ প্রশাসন শাখ অফিসার হিসেবে আছেন মো. আজহারুল ইসলামদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও বর্তমান প্রশাসন নিশ্চুপ। অধিদপ্তরের কর্মকর্তা হিসেবে আছেন জয়ন্তী প্রভা। যিনি ছাত্রজীবনে বেগম রোকেয়া হলের ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। সহকারী শিক্ষা অফিসার, মোস্তাহেদা পারভীন মৌ সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এর ভাগনি। তিনি মন্ত্রীর দাপট দেখিয়ে অধিদপ্তর পদায়ন নিলেও এখনও আছেন বহাল তবিয়তে। এছাড়া সহকারী শিক্ষা অফিসার মেরিনা হাসনাত, মামুনুর রশিদসহ অনেক আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তাই দীর্ঘদিন ধরে অধিদপ্তরে আছেন। অথচ তারা মাঠ পর্যায়ের কাজের জন্য নিয়োগ পেয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি নির্দেশনা আছে, কোন কর্মকর্তা এক কর্মস্থলে তিন বছরের অধিক থাকতে পারবেন না। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা বছরের পর বছর ধরে আছেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতনের পরও এই অধিদপ্তরের খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। মাত্র তিনজন শিক্ষা কর্মকর্তা ডিপিইতে পদায়ন পেয়েছেন। তাদেরকেও বর্তমানে চরম কোনঠাসা করে রেখেছেন আওয়ামী পন্থী কর্মকর্তারা।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে কার পদায়ন হবে বা বদলি হবে এটি মন্ত্রণালয়ের বিষয়। এখানে অধিদপ্তরের করার কিছুই নেই। একই বিষয়ে কথা বলার জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানাকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

শেয়ার করুন

অন্যান্য সংবাদসমূহ


প্রযুক্তি সহায়তায় BTMAXHOST