সাব্বির আহমেদ মানিক
বাজিতপুর কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি,,,
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর নিকলী সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খাল-বিল, নদী-নালায় নির্বিচারে ব্যবহৃত হচ্ছে চায়না তৈরি ‘ম্যাজিক জাল’। অতি সূক্ষ্ম এই জালের মাধ্যমে মাছ শিকারকারীরা শুধু বড় মাছই নয়, ধ্বংস করছে কোটি কোটি মাছের পোনা ও জলজ জীববৈচিত্র্য। এর ফলে ভবিষ্যতে মাছের উৎপাদন হুমকির মুখে পড়ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
এক প্রবীণ মৎস্যজীবী সাইফুল মিয়া বলেন, “আগে বিলে ছোট মাছ ধরা যেত, এখন কিছুই নেই। এই ম্যাজিক জালে পানি ফেলা মানেই সব শেষ। মাছ, পোনা, কীট-পতঙ্গ কিছুই বাদ যায় না।”
স্থানীয় তরুণ শাহীন বলেন, “এই জাল পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এগুলা বন্ধ করা দরকার।”
বাজিতপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম রিয়েল বলেন,
“চায়না তৈরি ম্যাজিক জাল অবৈধ। এই জাল পরিবেশ ও মৎস্য সম্পদের জন্য চরম হুমকি। আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। কিন্তু সচেতনতা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তা ছাড়া এই সমস্যা সমাধান কঠিন।”
বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারাসিদ বিন এলাম বলেন
“আমরা মৎস্য অফিস ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ে বিশেষ অভিযান শুরু করেছি। যারা এই অবৈধ জাল ব্যবহার করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনসচেতনতা বাড়াতে ইউনিয়ন পর্যায়েও প্রচার চালানো হচ্ছে।
বিদ্যমান মৎস্য আইন অনুযায়ী, অবৈধ জাল ব্যবহারে জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে। তবে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি জনগণকে সচেতন করে তুলতে না পারলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা
মৎস্য সম্পদ রক্ষায় এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে অদূর ভবিষ্যতে দেশের নদী-খাল বিলগুলো মাছশূন্য হয়ে পড়বে। চায়না ম্যাজিক জালের ব্যবহার বন্ধে প্রশাসন, স্থানীয় সরকার ও যজনগণকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।