সুলাইমান আহমদ:
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার দানাপাটুলী ও কর্শাকড়িয়াইল ইউনিয়নের সংযোগস্থলে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী জিগাতলা বাজার দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াত সমস্যা নিয়ে চরম দুর্ভোগে রয়েছে। বাজারে প্রবেশের প্রধান সড়কে মাত্র ২০০ গজের একটি কাঁচা রাস্তা বছরের পর বছর ধরে অবহেলিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এক প্রান্তে রয়েছে ইটের সলিং ও অন্য প্রান্তে পাকা সড়ক; কিন্তু মাঝখানের এই কর্দমাক্ত ও চলাচল-অনুপযোগী পথ জনসাধারণের যাতায়াতের প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাজারের প্রবীণ ব্যবসায়ী কাঞ্চন মিয়া বলেন, “প্রতিদিন আশপাশের বহু গ্রামের মানুষ এই বাজারে আসে। অথচ মাত্র কয়েকশ’ গজ কাঁচা রাস্তার কারণে সবাইকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক।”
তিনি আরও বলেন, “এই বাজারটি প্রয়াত এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নিজ এলাকায়, তার বাড়ির পূর্ব-দক্ষিণ পাশে অবস্থিত। দীর্ঘদিন মন্ত্রী থাকার পরও এখানে দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন না হওয়াটা আমাদের জন্য বেদনাদায়ক।”
দানাপাটুলী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ও বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহজাহান সানাউল্লাহ বলেন, “এত বড় একটি বাজারে এসে মানুষ কাদা-পানিতে হেঁটে আসছে—এটা আমাদের জন্য লজ্জার। তবে আমরা আশাবাদী, আগামী জুন মাসে এই রাস্তার পাকা নির্মাণে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
বাজারের আরেক ব্যবসায়ী ডা. বুরহানুদ্দীন জানান, “বাজার কমিটির কয়েকজন উদ্যোগ নিয়ে কিছু ইট ও মাটি ফেলে সাময়িকভাবে চলাচলের ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু এটা কোনো স্থায়ী সমাধান নয়।”
ব্যবসায়ী আবু হানিফ বলেন, “এই রাস্তাটি উন্নয়ন না হওয়াকে আমরা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল মনে করি। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে জোর দাবি জানাই—তারা যেন অবিলম্বে এই রাস্তাটি পাকাকরণে কার্যকর ব্যবস্থা নেন।”
স্থানীয়দের মতে, এই রাস্তার দ্রুত উন্নয়ন এখন সময়ের দাবি। এটি কেবল অবকাঠামোগত উন্নয়নের বিষয় নয়; বরং মানুষের চলাচলের মৌলিক অধিকার, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার প্রশ্ন।
জিগাতলা বাজারের ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছেন—এই কাঁচা রাস্তাটির উন্নয়ন যেন আর বিলম্ব না হয়।