1. admin2@kalernatunsangbad.com : admin : Admin
  2. admin@kalernatunsangbad.com : Khairul Islam :
রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ০৪:০১ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
ঘুমন্ত মানুষকে ডাকাব কীভাবে: ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি ‘এশিয়ান লিডারশীপ অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আলী বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জুলাই আন্দোলনের সকল শহীদ এবং আহতদের দায়িত্ব নেবে রাষ্ট্র: রিজভী জামালপুরে বিএনপি নেতার গুদাম থেকে ৫ হাজার কেজি সরকারি চাল উদ্ধার রাজারহাটে প্রান্তিক পেশাজীবি জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জ আমার সংবাদ’র প্রতিনিধি সম্মেলন ও আইডি কার্ড বিতরণ লতিবাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুলড্রেস বিতরণ লিবিয়ার ভূমধ্যসাগর থেকে ৩৭৬ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী উদ্ধার ফেনী জেলা প্রশাসকের সাথে বিএমইউজে জেলা সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় তাড়াইল উপজেলায় মোবাইল কোর্ট অভিযান চালিয়ে , ৪ ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ড
শিরোনাম
ঘুমন্ত মানুষকে ডাকাব কীভাবে: ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি জেলা কর্মী সম্মেলন উপলক্ষে, করিমগঞ্জে জামায়াতের গণসংযোগ ‘এশিয়ান লিডারশীপ অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আলী বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জুলাই আন্দোলনের সকল শহীদ এবং আহতদের দায়িত্ব নেবে রাষ্ট্র: রিজভী জামালপুরে বিএনপি নেতার গুদাম থেকে ৫ হাজার কেজি সরকারি চাল উদ্ধার রাজারহাটে প্রান্তিক পেশাজীবি জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জ আমার সংবাদ’র প্রতিনিধি সম্মেলন ও আইডি কার্ড বিতরণ লতিবাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুলড্রেস বিতরণ কষ্টে গাঁথা প্রবাসী জীবন লিবিয়ার ভূমধ্যসাগর থেকে ৩৭৬ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী উদ্ধার

ঘুমন্ত মানুষকে ডাকাব কীভাবে: ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি

  • প্রকাশ কাল রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫
  • ৫ বার পড়েছে

মুফতি সুলাইমান আহমদ

ঘুমন্ত মানুষকে ডাকা – কথাটি সহজ হলেও ইসলামী আদবের দৃষ্টিতে এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যেকোনো মানুষকেই ঘুম থেকে জাগাতে গেলে তার প্রতি সম্মান, কোমলতা ও সহমর্মিতা দেখানো উচিত। ইসলাম এমন একটি দ্বীন, যেখানে ঘরের দরজা খোলার সময়ও আদব শিখিয়েছে। তাই ঘুমন্ত মানুষকে ডাকার ক্ষেত্রেও রয়েছে সূক্ষ্ম নীতিমালা।
১. শান্ত ও কোমল কণ্ঠে ডাকা

ঘুমন্ত ব্যক্তিকে ডাকার সর্বপ্রথম ও সর্বশ্রেষ্ঠ পদ্ধতি হচ্ছে—নরম ও মধুর কণ্ঠে, তার নাম ধরে ডাক দেওয়া। চিৎকার, রুক্ষতা বা জোরে ধমক Islam সমর্থন করে না।

রাসূল (সা.)-এর আচরণ:
তিনি সাহাবীদের ঘুম থেকে ডাকার সময় বলতেন:
“الصلاة خير من النوم”
অর্থাৎ: “নামায নিদ্রা থেকে উত্তম।” (তিরমিযী)

এই বাক্যটি আজও ফজরের আজানের অংশ হয়ে রয়েছে।

২. আলতোভাবে স্পর্শ করা
চোখে আলো ফেলা বা জোরে টান দেওয়া নয়, বরং কাঁধে কিংবা হাতে হালকা ছোঁয়া দিয়ে ডাকা উত্তম। এটি নবীজীর সুন্নাত।

সহীহ বুখারীতে এসেছে:
“তিনি (সা.) আলী (রাঃ) ও ফাতিমা (রাঃ)-কে ঘুমন্ত দেখে হালকা ধাক্কা দিয়ে বললেন, ‘তোমরা নামাজ পড়ো না?’”
(সহীহ বুখারী: ১১২৭)

৩. কল্যাণের কথা বলে জাগানো

ঘুমন্ত ব্যক্তিকে যদি উত্তম বাক্য, দুআ বা কল্যাণের কথা বলে জাগানো হয়, তবে সে বিরক্ত না হয়ে আনন্দ অনুভব করবে।
যেমন বলা যেতে পারে:
“ভাই, আপনি নামাজের সময় হয়ে গেছে”, “আল্লাহ যেন আপনার দিনটি বরকতময় করেন।”

৪. চিৎকার, ধমক বা অপমান থেকে বিরত থাকা

ঘুমন্ত মানুষকে জোরে চিৎকার করে, ধমক দিয়ে, বা অপমান করে জাগানো ইসলাম বিরোধী। এতে তার মন খারাপ হয়, সম্পর্ক নষ্ট হয় এবং ঘুম থেকে উঠেই সে বিরক্ত হয়ে পড়ে।

আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন:
“ভদ্রতা ঈমানের অংশ।”
(সহীহ মুসলিম: ৩৫)

৫. ঘুম থেকে ওঠানোর পেছনে সদিচ্ছা থাকা উচিত

কেবল বিরক্তি বা কাজ করানোর উদ্দেশ্যে নয়, বরং নামাজ, কুরআন পাঠ, দায়িত্ব পালনের জন্য জাগানো হলে তা ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত হয়।

উপসংহার:
ঘুমন্ত মানুষকে জাগানোর বিষয়টি যতটা সাধারণ, ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করে কোমলতা ও সহানুভূতির সঙ্গে ডাক দিই, তবে ঘুমন্ত ব্যক্তি শান্তচিত্তে জেগে উঠবে, সম্পর্ক মজবুত হবে এবং তা আমাদের দ্বীনি শিষ্টাচারের পরিচয় বহন করবে।

লেখক: ইমাম ও খতিব, পশ্চিম মাথিয়া কেন্দ্রীয় বড় মসজিদ, কিশোরগঞ্জ সদর।

শেয়ার করুন

অন্যান্য সংবাদসমূহ


প্রযুক্তি সহায়তায় BTMAXHOST