1. admin2@kalernatunsangbad.com : admin : Admin
  2. admin@kalernatunsangbad.com : Khairul Islam :
বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৬:১৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
কিশোরগঞ্জে স্বামীর নির্যাতনে বিষপানে মৃত্যুর অভিযোগ লিবিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েএক জরুরি ব্রিফিং অনুষ্ঠিত লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসা ছাত্রকে হত্যার অভিযোগে শিক্ষক আটক চট্টগ্রামের ২৭ জন শীর্ষ সাংবাদিকসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের আহবান -বিএমইউজে পাকুন্দিয়ার মঙ্গলবাড়িয়াতে লিচুর বাম্পার ফলন কিশোরগঞ্জে সরকারি কর্মচারীদের ৭ দফাদাবীসহ স্মারকলিপি প্রদান তাড়াইলে নব যোগদানকৃত নির্বাহী অফিসারের মতবিনিময় সভা লিবিয়াতে ভয়াবহ সংঘর্ষ নতুন করে যুদ্ধের আশংকা পাকুন্দিয়ায় ডেভিল হান্টের বিশেষ অভিযানে আওয়ামী লীগের ২ নেতা গ্রফতার ফেরিঘাট ইজারায় অনিয়মের অভিযোগ

পাকুন্দিয়ার মঙ্গলবাড়িয়াতে লিচুর বাম্পার ফলন

  • প্রকাশ কাল বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫
  • ১৬ বার পড়েছে

মাইনুল হক মেনু, স্টাফ রিপোর্টার :

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার মঙ্গলবাড়িয়াতে এবার অনুকুল আবহাওয়া থাকায় লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। যেদিকে চোখ যায়, সেদিকেই শুধুই লিচু গাছ দেখা যায়। প্রতিটি গাছে থোকায় থোকায় ঝুলে রয়েছে রসে টইটম্বুর, বড় আঁশ যুক্ত বাহারি ঘ্রাণের লিচু। লিচুর গ্রামখ্যাত মঙ্গলবাড়িয়ার রাস্তার পাশে, বাড়ির উঠানে এবং বাগানে রয়েছে শত শত লিচুর গাছ। এখনকার মাটি লিচু চাষের জন্য উপযোগী হওয়ার কারণে লিচু চাষ দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন গ্রামজুড়ে চলছে লিচু পাড়ার মহোৎসব। গ্রামের নামেই লিচুর নাম রাখা হয়েছে ‘মঙ্গলবাড়িয়া লিচু’। রসালো, সুমিষ্ট, সুগন্ধ ও গাঢ় লাল রঙের কারণে এ লিচুর খ্যাতি ছড়িয়ে গেছে দেশজুড়ে। অনুকূল আবহাওয়ায় এবার এ লিচুর ফলনও হয়েছে বাম্পার।

কৃষি অফিসের তথ্যমতে, মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামে প্রায় ২০০টির উপরে লিচু-বাগান রয়েছে। এছাড়াও আনুমানিক পাঁচ হাজারের বেশি গাছ রয়েছে। বাগানগুলো থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকার লিচু বিক্রির আশা কৃষি অফিসের।
গত বছরে বাগানেই এ লিচু বিক্রি হয় চড়া দামে। প্রতি ১০০ লিচু বিক্রি হয় ৪০০/- টাকা থেকে ৫০০/- টাকায়। তবে এবার ফলন ভালো হওয়ায় চাষিদের মুখে আনন্দের হাসি।
মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামে এ লিচুর স্বাদ নেওয়ার জন্য ভিড় করেন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার লিচুরসিক ক্রেতারা। সাধারণত মঙ্গলবাড়িয়ার লিচু ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রয় করা হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এলাকার চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে শত শত লিচু গাছ৷ গাছের নিচে পাহাড়ায় সময় দিচ্ছেন চাষীরা। বাদর ও পাখিদের আনাগোনা লেগেই রয়েছে৷ গতবারের চেয়ে এবার ফলন ভালো হওয়ার জন্য বাগান মালিকদের মুখে হাসি দেখা গেছে৷ অধিকাংশ লিচু গাছ আগেই কিনে নিয়েছেন লিচু ব্যবসায়ীরা। লিচু চাষী তৌহিদ বলেন, বিগত কয়েকবছরের মধ্যে এবার ফলন হয়েছে বেশি। এই লিচু একবার কেউ খেলে মনে হবে যেনো রসগোল্লা কিনে খেয়েছে৷ সঠিক পরিচর্যা ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে এবার ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে। আমার বাগান থেকে ১০ লাখ টাকার লিচু বিক্রি হতে পারে বলে ধারণা করছি৷ লিচুর ব্যবসায়ী আবুল হোসেন বলেন, আমি ১০-১৫ টি গাছ চুক্তিতে কিনেছি ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে। বাগানেই দিনরাত সময় দিচ্ছি৷ ২/৪দিন পর থেকে বাজারে সরবরাহ করতে পারবো এই লিচু৷
লিচু চাষী মামুন মিয়া, শরীফুল ইসলাম, মহসিন মিয়া, রোমান মিয়া বলেন, প্রবাসে পাঠানোর জন্য কিছু গাছ কিনেছি৷ গতবছর বৈরী আবহাওয়াতে ফলন ভালো হয়নি তাই দাম বেশি ছিল তবে এবার যেহেতু ফলন ভালো আসাকরি তাই দাম একটু কম হতে পারে। উৎপাদনের চেয়ে চাহিদা বেশি থাকার কারণে দাম অন্য লিচুর চেয়ে বেশি হয়। বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ আসে৷ এছাড়াও সারাদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যায় এই গ্রামের লিচু৷
জনশ্রুতি রয়েছে, প্রায় ২০০ বছর আগে এক ব্যক্তি চীন থেকে এই গ্রামের প্রথমে একটি চারা গাছ এনে রোপন করেন। অধিক ফলন ও রসে টসটসে, ছোট বিচির কারণে এ লিচুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠে এলাকাবাসী। কিছুদিনের মধ্যেই এ জাতের কলম চারা ছড়িয়ে পড়ে গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে। লাভজনক হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে আগ্রহী হয়ে ওঠে গ্রামবাসী। এখন সবার বাড়িতে শোভা পাচ্ছে এ লিচুগাছ।
পাকুন্দিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূর-ই আলম বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে৷ এই লিচুর চাষ আরো কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় সেই বিষয়ে কৃষি অফিস থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তা পরামর্শ দেওয়া হয়েছে চাষীদের ৷

শেয়ার করুন

অন্যান্য সংবাদসমূহ


প্রযুক্তি সহায়তায় BTMAXHOST