আবু সায়েম মোহাম্মদ সা’-আদাত উল করীম :
ভিজিএফ কার্ড,টিসিবি পণ্য ও চল্লিশ দিনের মাটি কাটার কর্মসূচি প্রকল্পে নাম অন্তর্ভুক্তির করে দেওয়ার জন্য সুবিধা বঞ্চিত মানুষের কাছ থেকে অনৈতিক ভাবে টাকা নেওয়ার প্রতিবাদ করায় জামালপুর উপজেলা (সদর) পূর্ব শাখার স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মো. আতিক ইবনে আশরাফসহ শরীফপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শামীম খান
তুলশীচর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আবু তালেব ও যুগ্ম আহবায়ক শাহাদাত হোসেন শ্যামলসহ চার জন একদল সন্ত্রাসী কতৃক নৃশংস হামলার শিকার হয়েছেন।
নৃশংস হামলার শিকার জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল জামালপুর উপজেলা পূর্ব শাখার আহবায়ক গুরুতর আহত হয়ে মো. আতিক ইবনে আশরাফ জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ মে বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদককে জানান গত ২৯ এপ্রিল মঙ্গলবার ২০২৫ বিকাল ৫ টা ১৫ মিনিটে তুলশীচর ইউনিয়নের ঢৌয়া তলার দিকে যান। এ সময় ঢৌয়াতলার মীর বাড়ি মোড় থেকে আনুমানিক ৩০০ গজ উত্তর পাশের এলাকায় আসলে ঢৌয়াতলা যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, ও তাঁর চাচাতো ভাই তুলশী চর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি আনোয়ার হোসেন রেজাউল, তুলশীচর ইউনিয়ন যুবদলের ক্রিয়া সম্পাদক সুজন মিয়া, ৭ নং ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আজিজুল ইসলাম, ৬নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুজন ও তুলশীচর ইউনিয়ন যুবদলের নেতা সুমন, মোহনসহ আরও ৫/৬ জন সব মিলে ১০/১২ জন সংঘবদ্ধ দল আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মটর সাইকেলের গতি রোধ করে সশস্ত্র হামলা করে। এ সময় তাঁরা দেশীয় অস্রহাতে রামদা, রড, লোহার পাইপ দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে আমাকে হাত,পা,মাথা, নাক ও মুখে মারতে থাকে। এ সময় আমার সাথে আমার মোটরসাইকেল আরোহী শরীফপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শামীম খান ও তুলশী চর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আবু তালেব ও তাদের সাথে থাকা অপর একটি মোটরসাইকেল আরোহী তুলশীচর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক
শাহাদাত হোসেন শ্যামল নৃশংস হামলায় গুরুতর আহত হন। তিনি আরও জানান গুরুতর আহত হয়ে তিনি জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল ও শাহাদাত হোসেন শ্যামল শেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এছাড়া অন্যরা স্হানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন। তিনি আরও জানান ২৯ এপ্রিল হত্যার উদ্দেশ্যে এ নৃশংস হামলায় তাঁর মাথা, নাক, মুখ, হাত, পিঠ ও পায়ে গুরতর জখম হয় ও নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে তিনিসহ সকলেই অলৌকিক ভাবে বেঁচে যান। হামলাকারীরা এলাকায় বিভিন্ন ভাবে চাঁদাবাজিসহ ভিজিএফ কার্ড, টিসিবি পণ্য ও চল্লিশ দিনের মাটি কাটার কর্মসূচি প্রকল্পে নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এলাকার সুবিধা বঞ্চিত মানুষকে জিম্মি করে হামলাকারীরা অনৈতিক অর্থিক সুবিধা গ্রহণ করে আসছিল। তাদের এই অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তাঁদের উপর পরিকল্পিত ভাবে সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালায়। তিনি আরও জানান হাসপাতালে চিকিৎসা অবস্থায় থাকার কারণে তিনি এখনও মামলা করেননি। আর একটু শারিরীক অবস্থার উন্নতি হলেই হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তিনি পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তাছাড়া যেহেতু হামলাকারীদের রাজনৈতিক পরিচয় ও পদবি আছে তাই তাদের দল থেকেও বহিষ্কার এর আহবান জানান। যাতে করে এ ধরনের সন্ত্রাসীরা দলীয় ভাবে রাজনৈতিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত না হয়। এদের কারণেই বিএনপির রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। কাজেই দলীয়ভাবে এদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।