ওয়াসিম সোহাগ ; তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ)
তাড়াইল উপজেলা জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর বহু প্রতীক্ষিত দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল অবশেষে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ৩০ এপ্রিল। যা নিয়ে উচ্ছ্বাসের শেষ নেই তৃণমূল নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের। নানা প্রতিকূলতায় কয়েকবার তারিখ পিছিয়ে গেলেও এবার ধারণা করা হচ্ছে কাউন্সিলটি সফলভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে তাড়াইল সাচাইল কাছেমুল উলুম মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে স্পেন্ডেল করা সহ কাউন্সিলের সকল কাজ সম্পন্ন হয়েছিল। কিন্তু রাউতি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল হাসানের নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটনা ঘটার কারণে কাউন্সিল পন্ড হয়। ও পরে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলনের কারণে পেছাতে হয় কাউন্সিলের পরবর্তী তারিখ। তবে এবার সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত বলেই উপজেলা বিএনপির বর্ধিত সভায় ঘোষণা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা বিষয়টি অবহিত হয়েছে। এবং কাউন্সিলর ও সমর্থকদের ঘিরে সাজানো হয়েছে গোটা উপজেলার রাজনৈতিক অঙ্গন।
সভাপতি পদে লড়ছেন দুই আলোচিত ও প্রভাবশালী নেতা—সাইদুজ্জামান মোস্তফা এবং সারোয়ার হোসেন লিটন। উভয়েই দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, মাঠ পর্যায়ে সক্রিয় এবং তৃণমূল নেতাকর্মীদের আস্থাভাজন। সংগঠনকে সুসংগঠিত ও আধুনিক রূপে এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন উভয় প্রার্থীই। কে হবেন পরবর্তী সভাপতি—তা নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা ও জল্পনা কল্পনা।
সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫ জন—শরিফুল মাহমুদ শোয়েব, সারোয়ার আলম শাহরিয়ার খান, আখলাকুল ইসলাম অংকুর,ও শরিফ আহমেদ আলেক, তরুণ নেতৃত্ব ও অভিজ্ঞদের মিশেলে তারা সবাই নিজেদের উপস্থাপন করছেন একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবে। তারা প্রত্যেকেই পরিক্ষিত জাতীয়তাবাদী জিয়ার সৈনিক। মাঠপর্যায়ে কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ, কার্যক্রমে গতিশীলতা আনার প্রতিশ্রুতি ও ত্যাগ-নিবেদনের কথা কাউন্সিলরদের কাছে তুলে ধরছেন।
দলীয় একটি সূত্রে জানিয়েছে, সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক পরিবেশে কাউন্সিল সম্পন্ন করতে সব প্রস্তুতি শেষ।
অপর একটি সূত্র জানা গেছে, জেলা বিএনপির নেতাদের সমন্বয়ে একটি সমন্বয় টিম গঠন করা হয়েছে, যারা পুরো কাউন্সিল প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করবেন। সাথে অভিভাবক প্রতিনিধি হিসেবে থাকবেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। জাতীয়তাবাদী সংঘটিত শক্তিকে অব্যহত রাখতে,দলীয় শৃংখলা ও দলকে শক্তিশালী রাখতে তারা যে রকম সিদ্ধান্ত দেবে নেতৃবৃন্দ সহ তৃণমূল সকলেই তা মেনে নেবে।
তাড়াইল উপজেলা বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা জানান, “দীর্ঘ সময় পর এই কাউন্সিল আমাদের প্রত্যাশা জাগায়। আমরা আশাবাদী, এবার একটি অভিজ্ঞ ও তারুণ্যের সমন্বয়ে গঠিত কার্যকর কমিটি দেখতে পাবো। যে কমিটি তাড়াইল উপজেলা বিএনপিকে একটি ছায়াতলে দাঁড় করাবে। নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে সংগঠনে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনবে। এমনটাই প্রত্যাশা দলের প্রতিটি স্তরের নেতাকর্মীর। ৩০ এপ্রিলের এই কাউন্সিল শুধুই নেতৃত্ব বাছাই নয়, এটি হতে যাচ্ছে তাড়াইল উপজেলা বিএনপির ভবিষ্যৎ পথচলার অন্যতম মাইলফলক।