সাব্বির আহমদ মানিক, বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি ঃ কিশেরাগঞ্জ জেলার নিকলী উপজেলার বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিকের মেয়ে, কর্মচারী ও রোগীদের একাধিক যৌন হয়রানি অভিযোগ উঠেছে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. রুহুল আমিন এর বিরুদ্ধে। লোকলজ্জার ও সামাজিকতার ভয়ে মুখ বুজে এই কর্মকর্তার নির্যাতন সহ্য করেছে নিরীহ নির্যাতিতারা। নিকলী উপজেলার একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক ও তার স্ত্রী জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিযোগ করেন যে, তার অপ্রাপ্তবয়স্কা মেয়ে ডাক্তার রুহুল আমিনের দ্বারা শ্লীলতাহানি হন। তার যৌন হয়রানির স্বীকার এমন একাধিক ব্যক্তি এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। দীর্ঘ দিন অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যমতে আরো অনেক রোগী কর্মচারীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তিনি যৌন হয়রানির করেছেন। গত ১০/৪/২০২৫ বৃহস্পতিবার বাজিতপুর উপজেলার সরারচর সাইক মেডিকেল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডা. রুহুল আমিন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোগীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়া ও যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ স্বীকার করে জনসম্মুখে ক্ষমা চান এই চিকিৎসক। অনুসন্ধান বলছে নিকলী উপজেলার একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিকের (অপ্রাপ্তবয়স্ক) মেয়েকে এ চিকিৎসক ফুসলিয়ে কৌশলে তার শ্লীলতাহানির চেষ্টার সময় মেয়ের বড় ভাই পূর্ণ (২৩) দেখে ফেলায় তাকে মাদকাসক্ত সাজিয়ে নিকলী থানায় সোপর্দ করে।
এই বিষয়ে ডা. রুহুল আমীন তার বক্তব্যে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন, যে সকল স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ বারাবারি করছে তাদের বিষয়টি আমি সিরিয়াসলি নিবো এবং তাদের আইনের কাঠগড়ায় দাড়াবো বলে হুমকী প্রদান করে।
কিশোরগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. অভিজিত শর্ম্মা প্রতিবেদককে জানান, উক্ত বিষয়টি ফৌজদারি অপরাধ। ভুক্তভোগীর সুবিচার পাওয়ার জন্য আমার পক্ষে যা সম্ভব সবটুকু করবো এবং জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. ওয়াদুদ চৌধুরী প্রতিবেদককে মঠোফোনে জানান যে, ডা. রুহুল আমীনের বিষয়টি তার একান্তই ব্যক্তিগত। নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী আরিফ শ্লীলতাহানীর অভিযোগ সম্পর্কে জানান যে, অভিযোগ পেয়েছি সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক- খায়রুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক - সোহেল রানা
সম্পাদকীয় কার্যালয়- ৫২২ আইনুল্লাহ স্কুল রোড, স্বল্পমারিয়া, বএিশ, কিশোরগঞ্জ।
০১৯১২৫৫০৭২৭,০১৭২৪৫৭৪২১৭
Copyright © 2025 কালের নতুন সংবাদ. All rights reserved.