সঞ্জিত চন্দ্র শীল
হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ):
গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে শসা। দেখতে সাধারণ শসার মতো হলেও এগুলোর রং একটু ভিন্ন। কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে পলিনেট হাউজে ভিন্ন ধরনের এসব দেশি ও বিদেশী জাতের শসা চাষ করে সফলতা পেয়েছেন মনিরুল হাসান সোজাদ নামের এক যুবক।
তার বাড়ি কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার আড়াইবাড়ীয়া ইউনিয়নের ধনকুড়া গ্রামে। ১০ শতাংশ জায়গার উপর গড়ে উঠা পলিনেট হাউজে শসা চাষ করে পরিবার ও আত্মীয় স্বজনের চাহিদা মিটিয়ে বাকিগুলো বাজারে বিক্রি করে লাভের মুখ দেখেছেন তিনি।
জানা গেছে, বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার আড়াইবাড়ীয়া ইউনিয়নের ধনকুড়া গ্রামে কৃষক মনিরুল হাসান সোজাদের ১০ শতাংশ জমির ওপর গড়ে তোলা হয়েছে পলিনেট হাউস। এক ধরনের শক্ত পলি দিয়ে মোড়ানো ওই নার্সারি ঘর। এছাড়া ওই নার্সারির ভেতর তাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য রয়েছে মোটর দিয়ে পানি উত্তোলন করে এক ধরনের ফোয়ারার মাধ্যমে পানি ছিটিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা। এখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা রোগবালাই থেকে সহজে রক্ষা পাবে। উৎপাদন খরচ হবে কম, লাভ হবে বেশি।
মনিরুল হাসান সোজাদ জানান,এর আগেও তিনি টমেটো চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন৷ এবার তিনি নেদারল্যান্ডের রিকজোয়ান কোম্পানির উন্নত জাতের শসা চাষ করেছেন। এর পাশাপাশি দেশি জাতের শসাও চাষ করেছেন।
তিনি আরও জানান,অরগানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের ফলে এর উৎপাদন খরচ কিছুটা বেশি। সুপার শপ গুলোতে এসব শসার চাহিদা রয়েছে। প্রথমবার শসা চাষ করায় তিনি আত্নীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের বাড়িতে পাঠিয়েও এ পর্যন্ত ৩০-৩৫ হাজার টাকার মতো বিক্রি করেছেন। তিনি আশাবাদী এসব উন্নত জাতের সবজি একসময় বিদেশে রপ্তানী দেশ বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করবে।
এদিকে,তার চাষ পদ্ধতি ও ফলন দেখে আগ্রহ বাড়ছে স্থানীয়ঝে। প্রচুর ফলন হওয়ায় অন্য কৃষক ও বেকার যুবকরা উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন এই শসা চাষে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম শাহজাহান কবির বলেন, নতুন জাতের এই শসা চাষে স্থানীয় কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। এ শসা উচ্চ ফলনশীল ও উচ্চ পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। কৃষি অফিস থেকে কৃষক মনিরুল হাসান সোজাদকে সব ধরনের সহযোগিতাও করা হচ্ছে।