স্টাফ রিপোর্টার :
কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা: হেলিশের অনিয়ম, সেচ্ছাচারীতা ও স্বজনপ্রীতির কারনে পাটার বলি হচ্ছে কিশোরগঞ্জের লাখো রোগী। সেবার পরিবর্তে মৃত্যু পাত ও রোগীকে দ্রুত ময়মনসিংহ ও ঢাকা প্রেরণ করেই দায়সারা করে সরকারি টাকা ও হাসপাতালের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিজেরাই নিয়ে ব্যস্থ হাসপাতালের কর্তৃপক্ক।
আওয়ামী লীগের আমলের সেই হরিলুট যেন এখনও চির চেনা এ মেডিকেল কলেজে।
অভিযোগ উঠেছে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও দীন মোহাম্মদ হাসপাতালে রোগী পাঠানোই পরিচালকের অন্যতম মিশন।
তবে বর্তমানে ভোল পাল্টে জামায়াত-বিএনপির সাথে লিয়াজো করলেও আওয়ামী লীগের নেতাদের সকল কাজ করে যাচ্ছে নিরবে।
শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এ
জেলার একমাত্র সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটিতে ভুল চিকিৎসায় একের পর এক মৃত্যুর অভিযোগের ঘটনায় জেলাবাসীর মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। সরকারকে বিব্রত করতেই হাসপাতালটির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হেলিশ রঞ্জন সরকার ছক কষে দিনের পর দিন দায়িত্বে অবহেলার মাধ্যমে রোগিদের চিকিৎসা সেবার বদলে হয়রানির পরিবেশ তৈরি করছেন বলেও অনেকে অভিযোগ করেছেন।
তাদের মতে, হাসপাতালটির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হেলিশ রঞ্জন সরকার আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আফজাল হোসেনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তিনি জেলাবাসীর চিকিৎসাসেবার ভরসার জায়গাটিকে ধ্বংস করতে চান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালটির সাবেক এক কর্মকর্তা জানান, হাসপাতালটির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হেলিশ রঞ্জন সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ ও কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আফজাল হোসেনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। স্যার সলিমুল্যাহ মেডিকেল কলেজে অধ্যায়নকালে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন বাজিতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ছিলেন। তাঁর শ্বশুরবাড়ি বাজিতপুর উপজেলায়। শ্বশুরবাড়ির সূত্রে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সাবেক সংসদ সদস্য আফজাল হোসেনের ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেন তিনি। অন্যদিকে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ডা. দীন মোহাম্মদ এবং সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. আ.ন.ম নৌশাদ খানের (সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের শ্যালক) প্রতি আনুগত্য হেলিশ রঞ্জন সরকারকে সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের আস্থাভাজন করে তোলে।
তিনি আরও জানান, আবদুল হামিদের প্রভাব খাটিয়ে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালকের পদ বাগিয়ে নেন হেলিশ রঞ্জন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আহত ছাত্রদের চিকিৎসা রীতিমতো নিষিদ্ধ ছিলো হাসপাতালটিতে। অভিযোগ রয়েছে, বৈষম্য বিরোধী আহত শিক্ষার্থীরা চিকিৎসা নিতে গেলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের তিনি খবর দিতেন। ৫ই আগস্টের পট পরিবর্তনের পর তিনি ভোল পাল্টে বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। গত ৩১শে ডিসেম্বর তিনি হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হন।
অভিযোগ রয়েছে, ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হওয়ার পর হেলিশ রঞ্জন জেলা মেডিকেল মাফিয়া গ্রুপ গড়ে তোলেন। সৈয়দ নজরুল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর নেতৃত্বে ছাত্রলীগ যুবলীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ পায়। তাদের মাধ্যমে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগিরা হয়রানির শিকার হয়। এছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের কৌশলে তার লোকজনকে দিয়ে বেসরকারি প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বেসরকারি ক্লিনিক দীন মোহাম্মদ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন তিনি।
অন্যদিকে সম্প্রতী সময়ে ডা: হেলিশের টিকাদারী কান্ড নিয়ে পুরো শহরে চলছে বিভিন্ন কানাকানি তার মাঝে আগামীকাল দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে যাওয়া ঘটনা নিয়ে হতে পারে সংঘর্ষ এমন কিছু তথ্য এসেছে সংবাদ কর্মীদের মাঝে। এক ঠিকাদার জানান সরকারি নিয়মে অনলাইনে টেন্ডার পদ্ধতি চালু করার কথা থাকলেও এ সেবা মিলছে না শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার অন্যতম কারণ ডা: হেলিশ নিয়ন্ত্রণ।
সূত্রে উল্লেখিত 1. Continuously Minimum 05 (Five) years of General experience in the supply of MSR Goods and related services (Medicine) i.e years counting backward from the date of publication of IFT in the newspaper.
পিপিআর অনুযায়ী ০৩ বছরের সাধারন অভিজ্ঞতা হইলে টেন্ডারে অংশগ্রহণ করা যায়। এখানে ইচ্ছাকৃত ভাবে ০৫ বছরের সাধারন অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়েছে যাতে সবাই অংশ গ্রহণ করতে না পারে, যেটি পিপিআর বহির্ভূত।
এখানে পিপিআর অনুযায়ী কেনাকাটার সর্বোচচ ৮০% অভিজ্ঞতা চাওয়া যায় কিন্তু এখানে বিভাজন অনুযায়ী যে অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়েছে সেটি অনেক বেশি এবং সম্পূর্ণ বেআইনি। যেটি যেকোন একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য যোগসাজশে করা হয়েছে তাছাড়া এখানে ২৫০ বেড এবং তদুর্ধ্বে হাসপাতালের অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়েছে যেটি সম্পূর্ণ বেআইনি, কেননা এখনো বাংলাদেশের অনেক জেলায় ১০০ বেড জেলা হাসপাতাল রয়েছে। পিপিআর অনুযায়ী অবশ্যই এই অভিজ্ঞতা গণ্য করা যায়।
এখানে যে পরিমান টাকা চাওয়া হয়েছে এটি সম্পূর্ণ পিপিআর বহির্ভূত এবং অনেক বেশি পরিমান চাওয়া হয়েছে। এটি যোগসাজশে করা হয়েছে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। কয়েকজন ঠিকাদার বলেন উল্লেখিত বিষয় গুলো না মেনে মনগড়া তিনি চালাচ্ছে প্রতিষ্ঠান আর এতে সরাসরি সহযোগীতা করছেন শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের প্রধান হিসাবরক্ষক আকরাম ওরফে একরাম এ-র বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে তার চাকরি জীবনের সময়টুকু কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলা প্রভাব বিস্তার করে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। আর এখন ডা: হেলিশকে নিয়ে কোটি কোটি টাকা কামানোর মিশনেও বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কর্মকান্ড করে চলছে। রংপুর, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ঠিকাদারদের এলাকায় গিয়ে তাদের সাথে গোপন বৈঠক।
এমনকি এ হাসপাতাল থেকে সরকারি গ্যাসের কয়েক ডর্জন বোতল চুরি হলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ। এ নিয়েও রয়েছে অভিযোগ তিনি এসব কৌশলে বিভিন্ন ক্লিনিকে প্রেরন করা হয়েছে বলে দাবি অনেকের এ বিষয় জানতে ডা: হেলিশকে কয়েকবার মোবাইলে ফোন করলেও পাওয়া যায়নি। হাসপাতালের অফিস কক্ষেও মেলেনি হিসাব রক্ষক আকরামের দেখা।