নিজস্ব প্রতিবেদক:
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে শতাধিক পরিবারকে জিম্মি করে রাস্তা অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় হোসেনপুর মহিলা কলেজ বাউন্ডারি সংলগ্ন ঢেকিয়া এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর পুত্র মহরম আলী তার ভাই হোসেনপুর শ্রমিক লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিরজুলের প্রভাব কাটিয়ে স্থানীয় সিন্ডিকেট তৈরী করে পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।
ভোক্তভোগীরা জানায়, হোসেনপুর মহিলা কলেজ বাউন্ডারির পিছনের ঢেকিয়া এলকার শতাধিক পরিবারের চলাচলের রাস্তা সিমেন্টের পিলার দিয়ে আটকে রেখেছে। যার ফলে বসবাসরত লোকজন তাদের দৈনন্দিন জীবনের চলাচলের চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। স্কুল কলেজ গামী শিক্ষার্থীরাও সঠিক সময়ে যেতে পারছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। আরো জানা যায় ঐ এলাকায় বসবাসরত আঃ রাশিদের স্ত্রী (সারবানু) মৃতুবরণ করিলে লাশটি পযর্ন্ত নিতে দেয়নি ঐই রাস্তা দিয়ে ফলে লাশ নিতে হয়েছে হাঁটু পানি দিয়ে।
ভোক্তভোগীদের মাঝে শিউলি আক্তার, খোশনা আক্তার, বিনা আক্তার, লাবন্য আক্তার সহ সালদার, মানিক মিয়া, সোহরাপ, সোহাগ, খোকন, হারেছ সহ সকলের অভিযোগ দীর্ঘ ২০/২৫ বছর যাবত এই রাস্তা দায়ে আমরা চলাফেরা করে আসতেছি।
সম্প্রতী সময়ে শ্রমিকলীগ সভাপতির ভাই মহরম আলী তার নিজস্ব নার্সারীর চারা ভেনগাড়ী দিয়ে যাতায়াত করলেও পিছনে বসবাসরত শতাধিক পরিবারের চলাফেরা ও গাড়ী চলাফেরার রাস্তা সিমেন্টের পিলার বসিয়ে বেড়া তৈরি করে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ঢেকিয়া এলাকাবাসী।
ভোক্তভোগীদের দাবী ২০/২৫ বছর যাবত চলাফেরার রাস্তাটি উন্মুক্ত করে দিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
এ বিষয়ে হোসেনপুর পৌরসভার মেয়রের দায়িত্বে থাকা ফরিদ আল সোহান (এসিল্যান্ড)কে মুঠোফোনে যোগাযোগ করিলে এবং এ বিষয়ে অবগত করিলে তিনি বলেন বিস্তারিত বিষয়ে জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযুক্ত মরহম আলীর দাবী, আমার জমির পিছনের জমি আমাকে না দেওয়ায় পিলার দিয়েছি।