নিজস্ব প্রতিবেদক:
কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলাকারী রিপন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা হলেও পুলিশের কোন ভূমিকা নেই বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে জানাযায়,
ভৈরব উপজেলাধীন ৩নং শিমুলকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান (নৌকা) রিপন ভূইয়া তিনি সাবেক ভৈরব উপজেলা ছাএলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক, বিগত নির্বাচনে নৌকা প্রতিক নিয়ে জোরপূর্বকভাবে অবৈধভাবে চেয়ারম্যান হন। গত বৈষম্য বিরোধী ছাত্রআন্দোলনে ৩রা আগষ্ট ভৈরব দূর্জয় মোড়ে লোকবল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অবস্থান নেয় এবং জ্বালাময়ী উসকানিমূলক বক্তব্য রাখেন তিনি , শিমুলকান্দি ইউনিয়ন যুবদল নামক ফেইসবুক আইডি থেকে যা ব্যাপক ভাইরাল হয়//www.facebook.com/share/r/19fk21TqPg/? এতে অনেকে গুরুতর আহত হন।
তার বক্তব্যে বলেন রক্তের নেশায় মাতাল হয়ে বাংলাদেশের শান্ত মানুষ কে যারা অশান্ত করতে চাই, রক্তের নেশায় মাতাল হয়ে বাংলাদেশের ৮০ হাজার কোটি টাকা যারা ক্ষতি করেছে, ঘুমন্ত মানুষ কে যারা আগুন দিয়ে পুড়তে চাই, সাধারন মানুষের জানমাল নষ্ট করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে শান্তির লক্ষ্য আজকে আমরা রাস্তায় দাড়িয়েছি, ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগ ও পৌর আওয়ামী লীগের আয়োজনে সমস্ত ভৈরবের বঙ্গবন্ধুর সৈনিকেরা আজকে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, সেই ধংসকারীদের প্রতিবাদ জানানোর জন্য,, প্রিয় সংগ্রামী সাথীও বন্ধু রা,,,, বিএনপির জঙ্গিরা আসল আন্দোলনের কথা আপনারা সাধারন ছাএদের বলেন নাই,,, আজকে গর্জে ওঠেছেন বঙ্গবন্ধুর একদল সৈনিক বেচে থাকতে আপনাদের সেই দুঃস্বপ্ন কোনদিন বাস্তবায়িত হবে না,, অতএব ভৈরবের আওয়ামী লীগ আজকে ঐক্যবদ্ধ আছি… আমি অনুরোধ করবো আপনারা সবাই যখন যে আহ্বানের আন্দোলন সংগ্রামে প্রত্যকে উপস্থিত হবেন আমি আমার ইউনিয়ন থেকে সকল নেতা কর্মী নিয়ে একাত্বতা ঘোষনা করবো এবং সকল ষড়যন্ত্রকারীদের দাতভাঙা জবাব রাজপথেই দিব,,, একথা বলে আমি আমার বক্তব্য শেষ করলাম জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু স্যার ওই বক্তব্য দেওয়ার সময় তার সাথে থাকা অনেকের হাতেই বল্লম ছিল, ভিডিওতে তা স্পষ্ট দেখা যায়। তাছাড়া ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সেন্টু ও উপস্থিত ছিলেন। অত্যন্ত দুঃখজনক গত ৫ মাসেও এই চিহ্নিত প্রকাশ্য অপরাধী ধরাছোঁয়ার বাইরে। রিপন চেয়ারম্যান মামলার আসামী হওয়া সত্বেও পরিষদে অফিস ও হলরুমে ঘন্টার পর ঘন্টা মিটিং করে,,, এমতাবস্থায় সাধারণ জনগনের মধ্যে বিরাট অসন্তোস সৃষ্টি হয়ছে। জনমনে প্রশ্ন রিপন ভূইয়া চেয়ারম্যান প্রকাশ্য দূর্জয় মোড়ে লাঠি দা বল্লম নিয়ে অবস্থান নিয়েও তার কিছু হয় না।
তাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা র জন্য কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে গত ২২জানুয়ারী ২৫ লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে একই সাথে অনুলিপি দেয়া হয়েছে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জকে ।
এসব অভিযোগ কপিতে ফ্যাসিস্টের রিপন দোসর চেয়ারম্যানের ওপেন পরিষদে মিটিং করার লিংক? https://www.facebook.com/share/v/1CT5GEHGLa/
এবং বিভিন্ন ধরনের মামলার বিষয় গুলো উল্লেখ করা হয়েছে।
(মামুন মিয়া বাদী ৩১ হয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ০৬/৩০৮ তারিখ ৭/৯/২৪ ইংধারা ৪(১)/৫ আইন বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) ৩০৭/৩২৬/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০। ৪২ নম্বর আসামী রিপন ভূইয়া, পিতা রমিজ উদ্দীন,,সাং শিমুলকান্দি।
অভিযোগের বিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত করে দেখব।
কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অভিযোগটি জমা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারকে ফোনে পাওয়া যায়নি।