মাইনুল হক মেনু, স্টাফ রিপোর্টার :
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে রবি মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় বোরো ধানের (উফশী জাত) সমলয় চাষাবাদের মাধ্যমে ব্লক প্রদর্শনী স্থাপনের নিমিত্তে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে চারা রোপন কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কটিয়াদী উপজেলা কৃষি পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটি ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে কটিয়াদী পৌর সভার বোয়ালিয়া ব্লকে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ শফিকুল ইসলামের ভুইয়া সভাপতিত্বে এবং লোহাজুরী ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি অফিসার মোঃ মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাঈদুল ইসলাম। অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার মোহাম্মদ আজহার মাহমুদ, কটিয়াদী উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব মাইনুল হক মেনু, কটিয়াদী রিপোর্টার্স ইউনিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুম পাঠান, কটিয়াদী ব্লকের উপ সহকারী কৃষি অফিসার মঈনুল ইসলাম, আবু বকর সিদ্দিক, বনগ্রাম ইউনিয়ন ব্লকের উপ সহকারী কৃষি অফিসার হুমায়ুন কবির ও সাবেক মেম্বার সোনা মিয়া প্রমূখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, কটিয়াদী পৌর বিএনপির সভাপতি আশরাফুল হক দাদন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শাহজাহান সিরাজী, সাংবাদিক মোঃ খ্য়ারুল ইসলাম, দলিল লেখক সৈয়দ হাকিকুল ইসলামসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি ও কৃষক কৃষাণীগণ।
রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে চারা রোপন কার্যক্রমের উদ্বোধনী শেষে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাঈদুল ইসলাম। পৌরসভার বোয়ালিয়া ব্লকে সমলয় চাষাবাদ কৃষক গ্রুপে ৮৭ জন উপকারভোগী কৃষতের ৫০ একর জমিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে ব্রি ধান৯২ জাতের চারা রোপন করা হয়েছে।
এসময় বক্তাগণ বলেন, ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে চারা রোপন করলে জমিতে কম খরচে অধীক ফলন পাওয়া যাবে। এ পদ্ধতিতে অল্প সময়ে অনেক জমিতে ধানের চারা রোপন করা যায়। এতে শ্রমিক খরচ ও সময় দুটিই কমে হবে। ফলে কৃষক কম পরিশ্রমে তাদের কাঙ্খিত ফলন ঘরে তুলতে পারবে। সকল কৃষক যাতে ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে চারা রোপন করেন সেই বিষয়ে নানান পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।