রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বৎসরের পথ্য সরবরাহ,ষ্টেশনারী সরবরাহ ও লিলেন ধোলাই কাজের ঠিকাদার নিয়োগে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা.আব্দুস সামাদ এর বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি,টেন্ডারবাজী, ঘুষ গ্রহণসহ হাসপাতালের অর্থ লোপাট করার অভিযোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
ও ইউএনও বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে । বুধবার (৬ নভেম্বর )সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদ মূল ফটকের সামনে তিনটি দরপত্রের আবেদনকারী ভুক্তভোগী ঠিকাদারগণ ও এলাকাবাসী
এ মানববন্ধন করেন। মানববন্ধন বক্তব্য রাখেন, ভুক্তভোগী ঠিকাদার, আব্দুল করিম, মাসুদ রানা, মুনির হোসেনসহ অনেকে। সূত্রে জানা গেছে, গত আগস্ট মাসের ১৮ তারিখে রোগীর পণ্য সরবরাহ,ষ্টেশনারী সরবরাহ ও লিলেন ধোলাই কাজের দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।দরপত্র সিডিউল অংগ্রহের শেষ তারিখ ছিল১সেপ্টেম্বর, সিডিউল ড্রপের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর। সেদিনেই ১৪ জন ঠিকাদারের কাগজপত্র বাছাই করা হয়। এতে কয়েক জনের কাগজপত্রে ত্রুটি পাওয়া যায়। পরে, ৮ সেপ্টেম্বর বাছাই মূলায়নের তারিখ ঘোষণা করা হয়। ঘোষনার দিন সকল ঠিকাদার হাসপাতালে উপস্থিত হলেও অজ্ঞাত কারণ দেখিয়ে সেদিন কোন মূল্যায়ন করা হয়নি বলে ঠিকাদাররা জানান। মূল্যায়ন না দেখিয়েই দরপত্রের ফাইল জেলা সিভিল সার্জন এর কার্য্যালয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ফাইলটি সিভিল সার্জনের কায্যালয়ে ১৫ দিন পরে থাকার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালকের অফিসে পাঠানো হয়। সেখান থেকে কয়েকদিন পর ফাইলটি পূর্ণ মূল্যায়নের জন্য রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেে পাঠিয়ে দেওয়া হয় এবং বলা হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেের টিএইচএ,আরএমও, দু'জন মেডিকেল অফিসার, ইউএনও'র প্রতিনিধি ও সমাজসেবা কর্মকর্তাসহ মোট ৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি আবারও মূল্যায়ন করে যেন ফাইলটি পাঠিয়ে দেয়।কিন্তু এই কমিটি পুনরায় মূল্যায়নের কোন মিটিং ছাড়াই মনগড়া ফাইল পাঠানোর অপচেষ্টা করছে বলে ঠিকাদাররা জানান। এ ব্যপারে জেলা সিভিল সার্জন ও রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক বরাবরে অভিযোগ করেও কোন ভাল হয়নি বলেও তারা জানান। এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে বিভিন্ন মহলে চলছে আলোচনা ও সমালোচনা। এ নিয়ে ঠিকাদার মাসুদ রানা গত ২৪ অক্টোবর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক রংপুর বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে উল্লেখ্য করা হয়েছে,আওয়ামী লীগ নেতা হেদায়তুল্লাহ মেম্বার ও তাঁর জামাই আব্দুল মান্নান একটানা গত ১৫ বছর ধরে বিভিন্ন নামে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের খাদ্য সরবরাহের ঠিকাদারির কাজ পেয়ে আসছেন বা এটি ধরে রেখেছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে আবারও ঠিকাদারি পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টায় এ দরপত্রকে ঝামেলা দেখিয়ে গত তিন মাস যাবৎ এটির সমাধান দিচ্ছেন না। জেলা সিভিল সার্জন নূর নেওয়াজ ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুস সামাদকে দায়ী করছেন মাসুদ রানাসহ ৮ জন ঠিকাদার। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেের আরএমও ডা. ফিরোজ আলম জানান, এ বিষয়টির সবকিছু আমারদের টিএইচএ ডা. সামাদ স্যার ডিল করতেছে, আমি শুধু কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেছি। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুস সামাদ চৌধুরীর অফিসে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি, পরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।ইউএনও রকিবুল হাসান জানান, মানববন্ধন শেষে আমি একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে ।উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক- খায়রুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক - সোহেল রানা
সম্পাদকীয় কার্যালয়- ৫২২ আইনুল্লাহ স্কুল রোড, স্বল্পমারিয়া, বএিশ, কিশোরগঞ্জ।
০১৯১২৫৫০৭২৭,০১৭২৪৫৭৪২১৭
Copyright © 2024 কালের নতুন সংবাদ. All rights reserved.