ফারজানা আক্তার, কুলয়ারচর প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের উছমানপুর ইউনিয়নের নাজিরদীঘী গ্রামের এক অসহায় পরিবার একাধিক বার জমির রায় পেয়েও নিজের ভূমিতে বসবাস করতে পারছে না আওয়ামিলীগের চাদাঁবাজ সন্ত্রাস বাহিনীর অত্যাচারে।
জানা যায়, নাজিরদীঘী ৯ নং ওয়ার্ডের ওয়ার্ড আওয়ামিলীগ নেতা ছারিছলাম (৪০)গংদের অত্যাচারে ভূক্তভোগি প্রতিবেশী তোতা মিয়া( ৯৫) এর পরিবার দূর্বিসহ জীবন যাপন করছে। তোতা মিয়া একজন প্রতিবন্ধী বৃদ্ধা।তার ছেলেরা প্রবাসে থাকে। বাড়িতে প্রতিবন্ধী তোতা মিয়ার বৌ জোসনা বেগম(৮০)ও তার ছেলের বৌ।তাদের অসহায় পেয়ে ছারিছলাম,আলাল উদ্দিন,জয়নাল উদ্দিন, রাজা মিয়া,আব্দুল্লাহ সহ প্রায় অর্ধশত লোক বহু দিন ধরে তাদের থেকে চাঁদা বাজী করে আসছে। জমি দখলের হুমকী দিচ্ছে এমনকি তোতা মিয়ার পরিবারকে অত্যাচার করে আসছে বলে স্থানীয়রা জানায়।শুধু তাই নয় বহুদিন ধরেই চাদাঁ না দিলে তারা ভূয়া কাগজপত্র দিয়ে তোতা মিয়া পরিবারকে হয়রানি করছে।ছারিছলাম গংদের জাল কাগজের বিপক্ষে তোতা মিয়া গং একাধিক বার আদালতের রায় পেয়ে থাকেন।সন্ত্রাস বাহিনী ১৯ অক্টোবরে জোসনা বেগম তার তার ছেলের বৌ নাসিমাকে অনেক মারধর করে। জোসনা বেগম বেশ কয়েকদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন থাকার পর সেনাবাহিনীর কাছে অভিযোগ করলে ২১ অক্টোবর সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের শাসন করে স্থানীয় দরবারের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করার নির্দেশ দেন।এর পর আরো বেশি অত্যাচার করলে জোসনা বেগম ১৩ অক্টোবর সেনা ক্যাম্প সহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।সেনাবাহিনীর নির্দেশে ১৭ অক্টোবর ওলামা পরিষদের সভাপতি মো: দীন ইসলাম এর সভাপতিত্বে বিশাল এক স্থানীয় দরবার হয়।দরবারে কুলিয়ারচর সাব রেজিষ্টার অফিসের দলিল লেখক মো: জামাল উদ্দিন,বিএনপি ইউনিয়ন সভাপতি মো: কাসেম মিয়া ,সাধারন সম্পদক মো: সিদ্দিক মিয়া, সাবেক মেম্বার সাদিরুজ্জামান বাছির , স্থানীয় মাতাব্বর জজ মিয়া,কায়ুম মিয়া,আঙ্গুর মিয়া, নূর মোহাম্মদ,ইকবাল,জুলহাস,বাক্কার মিয়া,নুরুদ্দিন মাষ্টার,জারু মিয়া, জালাল মিয়া,পূর্ব সূত্রে ভূৃমির মালিক পক্ষের মো:জারু মিয়া সহ দুই শতাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন।
দলিল লেখক জামাল উদ্দিন দুইপক্ষের সমস্ত কাগজ পত্র অনলাইনে যাচাই বাচাই করে জানান আমরা পেয়েছি,
১. ২৩৩ দাগে ROR-তুফানী বিশ্বাস ও ধনঞ্জয় বিশ্বাস, পিতা রামনাথ বিশ্বাস।
২.৯৮০ দাগের ROR ২৩ শতক ভূমি।
৩. CS খতিয়ান ১৯৪ অনুযায়ী ৯৭৯ দাগে-আফসর শেখ,জহর আলী শেখ ও সুন্দর আলী শেখ, পিতা: রাজধর শেখ।
৪.৭৫২ নং খতিয়ানের মাঠ পর্চা অনুযায়ী দাগ নং- ১৪৭৮ বাড়ি ২৩ শতক ও ১৪৭৭ দাগের কান্দা ৮ শতক যার একক মালিক তোতা মিয়া।এবং ছারিছলাম যে একটা ডকুমেন্ট নিয়ে নিজেদের ভূমি দাবি করছে অনলাইনে এটা পাওয়া যায় নি।এটা ভূয়া মনে হচ্ছে তাই এটা আমরা আমলে নেই নি।
শেষে সভাপতি দরবারে রায় প্রদান করেন যে, সমস্থ কাগজ পত্র যাচাই বাচাই করে দেখা গেল নালিশিয়ান ১৪৭৭ ও ১৪৭৮ দাগের মালিক তোতা মিয়া গং।এবং ছারিছলাম গংদের এখানে কোন ভূমি নাই। তাই আগামি ৩০ অক্টোবর তারিখের মধ্যে ছারিছলাম গংদের ঘরের যে অংশ তোতা মিয়ার ভূমিতে আছে তা ভেঙ্গে জায়গা খালি করতে হবে বলে দরবারের নির্দেশ দেওয়া হল ।