ফারজানা আক্তার, কুলিয়ারচর প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে পীরপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি রত্না আক্তারের বিরুদ্ধে ১ অক্টোবর শতাধিক লোকের লিখিত অভিযোগ পেশ করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা বরাবর।২ অক্টোবর তদন্ত কমিঠি করা হয়। সেই প্রেক্ষিতে ১৪ অক্টোবর তদন্ত করা হয়। ঐ দিন সরেজমিনে দেখা যায় স্থানীয় শত শত লোক অভিযোগ করে বলছে, রত্না আক্তার কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধ চোরি করে বিক্রি করে। আমরা ওষুধ নিতে আসলে সে আমাদের তুই তোক্কারি ব্যবহার খারাপ করে বলে ওষুধ নাই, পরে আইছ। এভাবে দুদিন চার দিন নয় দিনের দিনের পর দিন ঘুরিয়ে দেয়।ওষুধ না পেয়ে আমরা উছমানপুর কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে গিয়ে ওষুধ আনি। কামাল,জাকির,আলী হোসেন ও হাসান সহ বেশ কিছু লোক বলেন প্রায় ৪/৫ মাস আগে আমরা তাকে রাত সারে ১১ টা বাজে হাতে নাতে ধরি ক্লিনিকে ওষুধ নিতে আসে এবং পিছনে তার স্বামী আবু সায়েম মোটরবাইকে একটি ব্যাগ নিয়ে আসে। বিষয়টা ধামা চাপা দেওয়ার জন্য তখন সে বলে পারিবারিক সমস্যার কারনে এসেছি।
পরবর্তীতে জানা যায়, নিজেকে নির্দোষ প্রমান করতে রত্না আক্তার ১৫ অক্টোবর থেকে স্থানীয়দের বেশি পরিমান ওষুধ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ক্লিনিকে ডেকে এনে প্রত্যেকের কাছ থেকে স্বাক্ষর নিচ্ছে।এলাকার মুরুব্বিরা জানায় আমরা জানিনা কিসের স্বাক্ষর নিয়েছে। আমদেরকে স্বাক্ষর দিয়ে ওষুধ নিতে হবে বললে আমরা স্বাক্ষর দিলাম।
স্থানীয় মুরুব্বিদের ওষুধের লোভ দেখিয়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমান করতে স্বাক্ষর নিয়েছে বলে এর সত্যতা স্বীকার করে রত্না আক্তার বলেন,তারা যে আমার কাছ থেকে ওষুধ পায় সেটা নিশ্চিত করার জন্য স্বাক্ষর নিয়েছি।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা:আদনান আখতার বলেন, স্বাক্ষরের বিষয়ে আমার কাছে কোন নিউজ নাই।খবর নিলে জানতে পারবো।
সিভিল সার্জন মো:সাইফুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে প্রতিবেদন জমা দিলে সেই প্রেক্ষিতে আমরা ব্যবস্থা নেব।এর মধ্যে আরো কোন তথ্য থাকলে তদন্ত কমিঠিকে অবহিত করুন।
সম্পাদক ও প্রকাশক- খায়রুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক - সোহেল রানা
সম্পাদকীয় কার্যালয়- ৫২২ আইনুল্লাহ স্কুল রোড, স্বল্পমারিয়া, বএিশ, কিশোরগঞ্জ।
০১৯১২৫৫০৭২৭,০১৭২৪৫৭৪২১৭
Copyright © 2025 কালের নতুন সংবাদ. All rights reserved.