মোঃ আল ইমরান
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ১নং মইলাকান্দা ইউনিয়নের লামাপাড়া গ্রামের এক অংশ ও ২নং গৌরীপুর ইউনিয়নের শাহবাজপুর ও শালীহর গ্রামের এক অংশে কয়েক দিনের অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলের পানি প্রবেশ করে শত শত একর ধানের জমি থলিয়ে গেছে।
অপর দিকে কিছু মানুষ খাল বিলে জাল দিয়ে মাছ ধরার জন্য বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবাহের গতি পথ আটকিয়ে দিয়েছে,ফলে বিলের দিকে পানি প্রবাহিত হতে পারছে না,এর ফলে ধানের ফসলি জমি পানিতে থলিয়ে যাচ্ছে।
গৌরীপুর উপজেলার পাশ্ববর্তী থানা ফুলপুর তাঁরাকান্দার- ১০নং বিশকা ইউনিয়নের- টিলাটিয়া লালমা এই সব গ্রামের মাঝে যে বিল রয়েছে তার নাম বড়বিলা বা শালীহর বিল নামে পরিচিত। বেড়িবাঁধ দিয়ে জাল দিয়ে মাছ ধরায় বৃষ্টির পানি আটকিয়ে এই বিলের দিকে পানি প্রবাহিত না হওয়ার কারনেও ধানের ফসলের জমি তলিয়ে যাচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে আগস্টের ১০ তারিখ পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে।
বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ১০ তারিখ পর্যন্ত গৌরীপুরের আরো বিভিন্ন অংশের ধানের ফসলের জমি তলিয়ে যাবে। অপর দিকে একাধারে বৃষ্টি থাকার ফলে গৌরীপুরের নিম্ন আয়ের মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে।
শাহাবাজপুর গ্রামের কৃষক মোঃ আবদুল গণি সহ অনেকে বলেন পার কেটে খাল ভরাট,খালে বিলে বাঁধ দিয়ে যারা বৃষ্টির পানি আটকিয়ে মাছ শিকার করছেন,উপজেলা প্রশাসনের উচিত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা।
গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউ এন ও মোঃ শাকিল আহমেদ এর কাছে জানতে চাইলে এ বিষয়ে ,তিনি “নিউজ টিভি ৬৪” এর রিপোর্টার মোঃ আল ইমরানকে দেওয়া সাক্ষাৎকার বলেন,বাঁধ দিয়ে বৃষ্টির পানি আটকিয়ে মাছ ধরা অন্যায়,অভিযোগ পেলে গৌরীপুরে কোথাও এ কাজ করলে অবশ্যই তাদের বিরোদ্ধে আইনি ব্যবস্হা নেওয়া হবে।
তবে আইন কেউ নিজের হাতে তুলে নেওয়া উচিত নয়। অনেক সময় দেখা যায় মাছ ধরা নিয়ে সামান্য বিষয়ে ঝগড়া করাতে মার্ডার পর্যন্ত হয়।