স্টাফ রিপোর্টার
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা চৌরাস্তা টু তাড়াইল সিএন্ড বি রুটটি অত্যন্ত জন গুরুত্বপূর্ণ। যাকে ভাটির শহর তাড়াইল উপজেলার প্রবেশদ্বার বলা হয়। দেশের যেকোনো স্থানে যেতে হলে উক্ত রাস্তাটি সর্বাধিক ব্যবহার হয়। উলুহাটি ও দরিল্লার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত যুগের হাওর নামক স্থানটি। যেখানে রয়েছে উক্ত রাস্তা দিয়ে নিরাপদ
ও অবাধ ভাবে যাত্রী সাধারণ চলাচল করার জন্য পুলিশ ডিউটি বক্স। যার পাশে অবস্থিত ব্রীজ ও মহিরুহ বট বৃক্ষ। যে স্থানটি বষার্কালে নান্দনিকতার জন্য দুর দুরান্ত থেকে পর্যটকদের মিলন মেলায় পরিনত হয়। আর উক্ত স্থানের মধ্যে দরিল্লা বাজারের একদল হ্যাচারী ব্যবসায়ী পঁচা ডিম ও খোলস গুলো রাখার জন্য এক দশক আগে ইট দিয়ে ভাগাড় তৈরি করে। যেখানে প্রত্যহ রাতে ফেলে রেখে। এর দুর্গন্ধে পথচারীরা নাক বুঝে প্রায় এক কিলোমিটার যেতে হয়। এতে অনেক যাত্রী সাধারণ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ নিয়ে নান্দাইল মডেল থানায় অভিযোগ করলে ততকালীন অফিসার ইনচার্জ মো,সাইফুল ইসলাম ফরাজি জিডি করে এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের পদক্ষেপ নেন। এসময় বদলী হয়ে যাওয়ায় উচ্ছেদ হয়নি। পরবর্তীতে ২০২১ খ্রিস্টাব্দ নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো এরশাদ উদ্দিনের সময়কালে যুগের হাওরে পঁচা ডিমের ভাগাড় ভেঙে গুড়িয়ে দিতে উপজেলা আইন শৃং্খলা সভায় রেজুলেশন হয়। পরবর্তীতে এর কার্যকরী পদক্ষেপ না নেয়ায় পথচারীদের জন্য আজন্ম অভিশাপ থেকে যায়। কিন্তু স্থানীয় সমাজ বারংবার এর প্রতিকার চেয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নান্দাইল মডেল থানা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর আবেদন করে ও সুফল না পাওয়ায় পরিবেশ সচেতনতা কল্পে সংগঠন উলুহাটি পাওয়ার জেনারেশন ৬ সেপ্টেম্বর রোজ শুক্রবার এর সদস্যরা দীর্ঘ দিনের পুঞ্জিভূত সমস্যা পঁচা ডিমের ভাগাড়টি ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। এবং আশপাশ কিছুটা পরিস্কার করে। উলুহাটি পাওয়ার জেনারেশন এর সহসভাপতি নুর মোহাম্মদ জানায়, প্রশাসনের দ্বারেদ্বারে ঘুরে কোন প্রতিকার না পেয়েই সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে নিজেরা গুড়িয়ে দেই। যেখানে পথচারীদের হরহামেশা চলাচলে নাভিশ্বাস উঠতো এবং উক্ত এলাকা নিয়ে নানা মন্তব্য করতো। আমরা যুগের হাওর এলাকার নান্দনিক পরিবেশ বজায় রাখার জন্য যা করার দরকার সাংগঠনিক ভাবে তাই করব। আমার সকলের সহযোগিতা চাই।
এ বিষয়ে সংগঠনের সভাপতি মো,আকাইদ বলেন, পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে এ সংগঠন কাজ করে যাবে। সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।