নিজেস্ব প্রতিবেদক:
কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলার রাজী এলাকার শামসুলের অপকান্ডের তথ্যফাঁসের জেরে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সন্ত্রাসী বাহীনী দিয়পঅভিযোগকারীকে লোমহর্ষক মধ্যযোগীও কায়দায় হামলা। মনগড়া গল্প নাটক বানিয়ে তুচ্ছ বিষয় ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছিনতাই লোটপাট ও প্রাণ নাশের অপচেষ্টা। ভন্ড, ধান্দাবাজ, মিথ্যুক, মামলাবাজ, মিথ্যা মোকদ্দমায় মানুষকে হয়রানিসহ জমিজমা ক্রয়বিক্রয়ের দালালী করে মানুষের কাছ থেকে নানা অযুহাতে টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় তার পেশা ও নেশা।
তার দালালী কমিশনের ভোগান্তি হয়রানি শিকার ভুক্তভোগী ও আরো অনেকেই এমটাই দাবি এলাকার জনসাধারণের। দাঙ্গাবাজ সন্ত্রাসী শামসুলের অপকর্ম ধামাচাপার অপচেষ্টায় মরিয়া এলাকার কিছু অসৎ অসাধু চক্র সিন্ডিকেট মূল ঘটনাকে মিথ্যা, বানোয়াট, ভুল ব্যাখ্যা ধামাচাপা দিয়ে ভিন্ন দিকে প্রবাভিত করার পূর্ব পরিকল্পিত অপচেষ্টা। সত্য প্রকাশের জেরে কুচক্র জালের ফাঁদে ভুক্তভোগী অভিযোগকারী পরিবার ও আত্মীয় স্বজন। অভিযুক্তরা অন্য সিভিল মামলার আসামী বটে। ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তি মিথ্যা, বানোয়াটা কারসাজি করে নানা প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থানে নানা কৌশলে টাকা নেয় একাধিকবার। উক্ত বিষয়ে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসা করলে পরিস্থিতিতে প্রাণ নাশের জীবন ঝুঁকিতে পরিণত হয় এবং সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা ও টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখমী মারাত্মক আঘাত, ক্ষত জখম করে। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছে।
২৫ জুলাই (বৃহস্পতিবার) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশিকুর রহমান আমলী আদালত নং-০৪ কিশোরগঞ্জ কর্তৃক উল্লেখিত অভিযোগ কারীর অভিযোগের ভিত্তিতে ডিবিকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন।
অভিযুক্ত আসামীরা হলেন-১। সামছুল মিয়া (৫৫), ২। পারুল মিয়া (৫৫), ৩। মাজু মিয়া (২৮), ৪। গাজী মিয়া (৪৮) ৫। রহমতুল্লাহ (২৫), ৬। সারমিন (২০) ও ৭। শাহীন (২০)
তথ্য সূত্র ঘটনাক্রমে অভিযোগকারী ভুক্তভোগী বলেন, গত ১৪ ই জুলাই তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়িতে যাওয়ার পথে সন্ধা ৭ টায় ফাঁদ পেতে রাখে দালাল শামসুল। ঘটনাস্থল দক্ষিণ রাজী বটগাছ ফুল মোড়ে উল্লেখিত ৭ জন আসামীসহ সংঘবদ্ধ ১০/১২ মিলে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভুক্তভোগীর উপর অতর্কিত আক্রমন করে। এলাকার অসাধু চক্র মূল ঘটনাকে মিথ্যা ভিন্ন খাতে অপব্যাখ্যা, অপপ্রচার করে সত্য ধামাচাপা দেওয়ার সব রকম অপচেষ্টা চালায়।
ভুক্তভোগী আরো বলেন যে, পূর্ব পরিকল্পিত ইস্যু দালাল সামসুল মিয়ার নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ চক্র তাদের হাতে থাকা লোহার রড ও লাঠি সোঠা নিয়ে আমার অটোর গতিরোধ করে। কিছু বুঝে উঠার আগেই দালাল শামসুলের হুকুম দেওয়ার সাথে সাথে আমার শার্টের কলার ধরে অটো থেকে টেনে হেচড়ে নামিয়ে চতুর্দিক থেকে ঘেরাও করে আমাকে বেধরক মারপিট শুরু করে। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসী হারুল মিয়া আমাকে লোহার রড দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে আমার মাথায় স্বজোরে আমাতে আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। এ সময় দালাল সামসুল মিয়া আমাকে শ্বাসরোধে খুনের উদ্দেশ্যে আমার গলায় পা দিয়ে চাপ দিয়ে ধরে এবং সন্ত্রাসী মাজু মিয়া আমার বুকে লাথি মেরে আমাকে মারাত্মক আহত করে ও চোখে জখম করে, সেই সাথে আমার হাতের হ্যান্ড ব্যাগের মধ্যে থাকা ১,৫৬,০০০/= (এক লক্ষ ছাপ্পান্ন হাজার) টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। সন্ত্রাসীরা আমার ব্যবহৃত সিম্ফোনী এ্যানড্রয়েট মোবাইলটিও নিয়ে যায়। দালাল শামসুল ও তার সঙ্গীয় সন্ত্রাসীরা আমার সারা বুক, পিঠ, চোখ, মাথাসহ সারা শরীরে লাথি, মোড়া কিল, ঘুষিতে মাটিতে মাটিতে ফেলে রাখে। মাটিতে পড়া অবস্থায় আমার গোঙ্গানীর শব্দে সাক্ষী রমজান সহ সাক্ষীগণ এসে আসামীদের কবল থেকে আমাকে উদ্ধার করে। আসামীগণ সাক্ষীদেরকেও কিল, ঘুষি মারে। আসামীগণ চলে যাওয়ার সময় হুমকি ধামকি দেয় যে, এ ব্যাপারে ভবিষ্যতে মামলা মোকদ্দমা করলে আমাকে জানে মেরে ফেলা সহ পরিবারের ক্ষতি করবে। প্রয়োজনে মিথ্যা মামলায় জড়াবে।
ঘটনাস্থল প্রত্যক্ষদর্শীরা, আশপাশের লোকজন বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর লোমহর্ষক বলে মন্তব্য করেন। সত্য প্রকাশে এবং অভিযুক্তদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানান। তবে ঘটনার সত্যতায় বাধা বিঘ্নতায় সত্য প্রকাশে ধামাচাপা দেওয়া চক্রেরা অপ ক্ষমতার ভয়ে নাম পরিচয় গোপন রেখে সত্য প্রকাশে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান সচেতন জনসাধারণ ও এলাকাবাসী। উক্ত বিষয়টিকে কেন্দ্র করে মিমাংসা সমাধানের নামে মধ্যস্থকারীদের কেউ কেউ অসৎ উদ্দেশ্যে মূল ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করে সত্য ঘটনা আড়াল করার অপচেষ্টা করেছেন। মধ্যস্থাকারীদের তাদের মনগড়া সমাধান মেনে না নিলে প্রয়োজনে রাজনৈতিক ছত্রছায়া ও অপক্ষমতায় বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাভিত করে অভিযোগ কারীকে ভবিষ্যতে আরো সব রকমের হেনস্থা এবং জীবন ঝুঁকিতে হুমকী দেন। সত্য ধামাচাপাকারী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট মামলায় আইনী জটিলতায় নিরাপত্তাহীনতায় কেউ ই নাম পরিচয়ে উক্ত বিষয়ে কথা বলতে আগ্রহী নয়। অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাদের পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে তাদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তারা কথা বলতে রাজী নয় শর্তে উক্ত বিষয়ে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করে মন্তব্য করেন। এলকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ইউনিয়ন পরিষদ, স্থানীয় থানাকে অবগত করি। ভুক্তভোগীর চিকিৎসা, নিরাপত্তা হীনতায় উক্ত বিষয়ে অভিযোগ দিতে দেরী হয়েছে। এ ছাড়াও বর্তমানে দেশের জরুরী অবস্থায় সমস্ত আইন- আদালত বন্ধ থাকায় অভিযোগ দিতে বিলম্ব হয়। ভুক্তভোগী অভিযোগকারী ও স্বাক্ষীগণ অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন।
উক্ত ঘটনা তদন্ত স্বাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের স্বক্রিয় পদক্ষেপ ও সুনজর আশা করছি। সেইসাথে সত্য প্রকাশ করে অভিযুক্ত অপরাধীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী অভিযোগকারী ভুক্তভোগী ও তার পরিবার, আত্মীয় স্বজন সচেতন মহল ও এলাকাবাসীর।