নিজস্ব প্রতিবেদক:
কিশোরগঞ্জে গুরুদয়াল সরকারি কলেজ চত্বরে কোটা বিরোধী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জেলা ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
দুপুর ১২টার দিকে গুরুদয়াল সরকারি কলেজ চত্বরে কোটা বিরোধী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এ ঘটনা ঘটেছে।
কোটা বিরোধী ছাত্র ছাত্রীরা কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল কলেজ চত্বরে, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কলেজ চত্বরে অবস্থান নিলে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী লাঠিশোটা নিয়ে অতর্কিত আন্দোলন কারীদের ধাওয়া করলে আন্দোলনকারী কলেজ চত্বর থেকে বটতলার দিকে পালিয়ে যায়। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই আন্দোলন কারী শিক্ষার্থীরাও পাল্টা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। মুহূর্তেই কলেজ চত্বর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। একের পর এক মিছিল ও বিক্ষোভ হয়।
কোটা বিরোধী শিক্ষার্থীরা শহরের বটতলা থেকে পুনারায় একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের দিকে যেতে থাকলে সরকারি মহিলা কলেজ, ওয়ালীনেওয়াজ খান কলেজ, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম পৌর মহিলা কলেজ ও কিশোরগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে কলেজের দিকে আসার খবরে জেলা ছাত্রলীগ স্থান ত্যাগ করে।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, শান্তিপূর্ণ কোটাবিরোধী কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিতভাবে লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায় এবং তাদের ধাওয়া করে। পরে তারা ধাওয়া খেয়ে একটি বড় মিছিল বের করে এবং শহরের আশপাশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের একত্রিত হয়ে আন্দোলন স্থলে আসলে ছাত্রলীগ ভয়ে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন বলেন, আমরা কোনো ধরনের সংঘাতে যেতে চাই না,সহযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে চাই। আজ তারা নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষকে দুর্বিষহ যন্ত্রণার মধ্যে ফেলেছে। যেখানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সবাই আন্তরিক, ইতোমধ্যে আদালতের রায় তাদের দাবির একটি অংশ বাস্তবায়নও হয়েছে। তারপরও টেনে টেনে তারা আন্দোলনকে প্রলম্বিত করছে। তবে কারও ওপর হামলা করা হয়নি।
কোটা বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্বকারী মোঃ ইকরাম হোসেন বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের দাবী আদায়ের লক্ষে আন্দোলনে নেমেছি, কিন্তু ছাত্রলীগ নেতারা তা করতে দেয়নি, তারা আমাদের উপর হামলা করেছে, কলেজের হোস্টেলে থাকা শিক্ষার্থীদের গেইটে থালা দিয়েছে। তিনি আরোও বলেন কোটা বিরোধী আন্দোলন কারী শিক্ষার্থীরা প্রায় ৫০ জনের মত আহত হয়েছে। তারা কিশোরগঞ্জ বিভিন্ন ক্লিনিকে ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
তাদের পরবর্তী কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, কেন্দ্রীয় ভাবে ঘোষনা হলে পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে।
অপরদিকে শহরের বিভিন্ন স্থানে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে তারা।