আতাউর রহমান বাচ্চু
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি।

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায়
দিন দিন গরু চুরি বেড়েই চলেছে। কোন ভাবেই ঠেকানো যাচ্ছেনা। এ যেন এক মহামারী আকার ধারণ করেছে। গতকাল ১ জুলাই সারা রাত ছিল বৃষ্টি এই বৃষ্টির মধ্যে মুশুলী ইউনিয়নের মেরেঙ্গা গ্রামের (পশ্চিমপাড়া) মোঃ আসলাম মিয়া, পিতা মৃত ফজলুল মিয়া খামার থেকে রাতের আঁধারে চারটি গরু চোর চুরি করে নিয়ে যায়। মুশুলী ইউনিয়নে দিন দিন গরু চুরি বেড়ে যাওয়ায় কৃষক ও গরুর খামারিরা চিন্তাগ্রস্ত। নতুন উদ্যোক্তা খামারিরা মনোবল হারিয়ে ফেলতেছে। এলাকায় ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে জুয়া খেলা ও মাদকের প্রসার। ধারণা করা হচ্ছে জুয়া ও মাদকের কারণেই এলাকায় চুরি ও অপরাধ প্রবনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এলাকাবাসীর জোর দাবি উপজেলা আইনশৃঙ্খলা মিটিং এ এই বিষয়ে প্রতিকারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার। তা নাহলে নতুন উদ্যোক্তা খামারিরা খামারে কোন গরু তুলতে সাহস পাবে না।
খোঁজ নিয়ে অনুসন্ধানে জানা যায় গত মে ,জুন ২০২৪ ইং এই দুই মাসে মুশুলী ইউনিয়নে গরু চুরি হয়। চকমতি গ্রামের হাজী নুরুল ইসলাম সাহেবের ৬টি গরু, কাউয়ার গাতী গ্রামের আতাহার ৩টি গরু, ইন্দারগাতী গ্রামের আবু বক্করের ১০ টি গরু, রাজগাতী গ্রামের ইদ্রিসের ৪টি গরু, চকমতি গ্রামের ইদ্রিসের ২টি গরু, মেরেঙ্গা গ্রামের আসলামের ৪টি গরু চুরি হয়।

অন্যদিকে চুরি যাওয়া গরু নিয়ে থানায় গিয়ে জিডি করতে ভোগান্তি বেশি বলে কৃষক থানায় যেতে অনীহা। কৃষককের বক্তব্য যে থানায় গরু নিয়ে জিডি করলে গরুর রং,ওজন,উচ্চতাসহ বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করে বিড়ম্বনা সৃষ্টি হয়।