রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুপক্ষের অন্তত প্রায় অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকটি ককটেল নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটেছে,দেশিও অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া করতে দেখা যায় ।
আজ শনিবার সকাল ১০.৩০ টায় বাঘা উপজেলা পরিষদের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে , মূলত একই স্থানে মানববন্ধন ডাকার কারণে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে নেতাকর্মীরা দাবি করেছে। আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের সময় এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা দেয়,দু’পক্ষের মাধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া করতে দেখা যায় ইট, পাটকেল,দেশিও অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত দু’পক্ষই ।
বাঘা উপজেলায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে এখনো বাঘা উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরসহ আশপাশের এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে ।
আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুইজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুলকে গুরুতর আহত হয়েছে তার অবস্থা আসংখা জনক বলে জানা যায়। কয়েকজনকে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও আড়ানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম সহ দুই গ্রুপের অনেক নেতা কর্মী আহাত হয়েছেন বলে জানা যায় ।রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়,বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলু ও বাঘা পৌর মেয়র আক্কাছ আলী গ্রুপের নেতাকর্মীরা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির নামে জমির ক্রেতার কাছে জোরপূর্বক অতিরিক্ত টাকা আদায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ডাক দেন।
অপর পক্ষ, বাঘা পৌরসভার দুর্নীতি ও পৌরসভার মেয়র আক্কাছ আলীর স্বজনপ্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতা কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধনের ডাক দেন স্থানীয় এমপি শাহরিয়ার আলম গ্রুপের নেতাকর্মীরা।
সকালে দুই পক্ষ উপজেলার সামনে অবস্থান নেয়। এসময় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয় , সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটে। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ উপস্থিত হয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে । এতে উভয় পক্ষের প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মি আহত হয়েছেন।