মোঃ সোহেল রানা রাজশাহী
পবার হুজরীপাড়া ইউনিয়নের দারুশা শাইরপুকুর এলাকায় প্রতিষ্ঠিত মানছুরিয়া খানকাহ শরিফে উত্তরবঙ্গের শ্রেষ্ঠ পীর, কুতুবে আলম শাহ্ সুফি এ.টি.এস.এম খলিলুর রহমান আল-চিশতি নিজামীর (রহঃ) ৩য় তম ৭ জিলহজ্জ ১৪৪৫ হিজরি (১৪ জুন ২০২৪) ওরশ মোবারক অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে পীরে কামেল, ওলীয়ে রাব্বানী, সুফিসাধক এস.এম শফিকুল আলম আল- চিশতী নিজামীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ মাননীয় সংসদ সদস্য রাজশাহী -৩ পবা মোহনপুর ।এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ২নং হুজুরীপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা, ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার আশরাফুল ইসলাম সুরাপ, হযরত খাজা শাহ্ সুফি এ.টি.এস.এম খলিলুর রহমান আল-চিশতি নিজামীর (রহঃ) এর ওরশজাত সন্তান, খলিফাগন এবং অন্যান্য ওলামায়ে কেরামগণ। তারাও কুরআন ও হাদিস থেকে বিভিন্ন আলোচনা করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে গদীদিনশীন পীর কেবলা তিনি, কুরবানী, জিলহজ্জ মাসের ফজিলত, নবী-রাসুল ও ওলি-আওলিয়া সমন্ধে আলোচনা করেন।
জিলহজ্জ মাসের আমল ও ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, মহানবী (সা.) বলেন, এমন কোনো দিন নেই যে দিনগুলোতে ইবাদত আল্লাহর কাছে জিলহজের প্রথম দশকের ইবাদত থেকে অধিক প্রিয়। জিলহজের প্রথম দশকের প্রত্যেক দিনের রোজা এক বছরের রোজার সমতুল্য। আর প্রত্যেক রাতের ইবাদত লাইলাতুল কদরের ইবাদতের সমতুল্য (তিরমিজি)।হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহর কাছে জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমলের চেয়ে অন্য কোনো দিনের আমল উত্তম নয়। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! আল্লাহর রাস্তায় জিহাদও না? রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদও না। তবে ওই ব্যক্তি ছাড়া, যে তার সর্বস্ব নিয়ে জিহাদে অংশগ্রহণ করল এবং কিছুই নিয়ে ফিরতে পারেনি। (বুখারি)
তিনি আরো বলেন, ইসলামের প্রত্যেক বিষয়ের যেমন জাহের রয়েছে তেমন বাতেন রয়েছে (সুরা আলে ইমরান) কুরবানি যেমন পশুর দিতে হয় ঠিক আমাদের মধ্যে যে পশুত্ব স্বভাব রয়েছে সেগুলো যেন আমরা কুরবানি করতে পারি যেমন হিংসা, লোভ, মোহ, কাম, ক্রোধ ইত্যাদি।
এছাড়াও তিনি বলেন, কোরান বলছেন:-“আতিউল্লাহা আতিউর রাসুল ওয়া উলিল আমরে মিনকুম। অর্থাৎ (হে মানুষ) অনুসরণ কর আল্লাহর, আল্লাহর রাসুলের এবং তোমাদের মধ্যে যাহারা উলিল আমর -(৪:৫৯)।”
তাই আমাদের বর্তমান সেই উলিল আমর চিনে আমাদের তাদের অনুসরন করতে হবে।
পরিশেষে তিনি বলেন, আমরা সঠিক ভাবে কুরবানি করতে পারি, নিজেকে পরিশুদ্ধ করতে পারি, নামাজ কায়েম করতে পারি ইত্যাদি এবং বিশ্ব মুসলিমের শান্তি কামনা করে আখেরী মোনাজাত ও তবারক বন্টনের মধ্যে দিয়ে পবিত্র ওরশ শরীফ সম্পন্ন শেষ করেন।