মোহাম্মদ মাসুদ
র্যাব-৭ চট্টগ্রামের মাদক বিরোধী অভিযানে জোরারগঞ্জ হতে ৩০ কেজি গাঁজা এবং ৯৮ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধারসহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ী আটক; মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত ০১টি পিকআপ জব্দ।
১০ মে রাত সাড়ে ৮টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের খান সিটি সেন্টার এলাকার পাকা রাস্তায় চেকপোষ্ট ও গাড়ী তল্লাশী করে আসামিদের আটক করে। আটক আসামি ১। মোঃ তুহিন (৩৮), পিতা-মৃত নুরউদ্দিন, সাং-মুনসুরাবাদ, থানা-আকবর শাহ, জেলা-চট্টগ্রাম এবং ২। মোঃ সোহেল (২৮), পিতা-মোঃ সিরাজ, সাং-নীলকমল, থানা-দুলারহাট, জেলা- ভোলা।
আটকের সময় র্যাবের চেকপোস্টের দিকে আসা একটি পিকআপের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে র্যাব সদস্যরা পিকআপটিকে থামানোর সংকেত দিলে পিকআপটি না থামিয়ে কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে র্যাব সদস্যরা আসামিদের আটক করে।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী একটি পিকআপ যোগে মাদকদ্রব্য বহন করে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে কুমিল্লা হতে চট্টগ্রাম এর দিকে আসছে। উক্ত তথ্যে
মাদক কারবারিদের আটক করে।
আটক আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশীতে বিশেষ কৌশলে রক্ষিত দুইটি প্লাাস্টিকের বস্তায় ৩০ কেজি গাঁজা এবং ৯৮ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধারসহ আসামিদসহ মাদক পরিবহনের ব্যবহৃত পিকআপটি জব্দ করা হয়।
জানা যায়,আটক আসামিরা তারা দীর্ঘদিন যাবৎ ড্রাইভিং পেশার আড়ালে সুকৌশলে মাদকদ্রব্য (গাঁজা, ফেন্সিডিল) কুমিল্লা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে স্বল্প মূল্যে সংগ্রহ করে পরবর্তীতে চট্টগ্রামসহ পার্শ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট অধিক মূল্যে বিক্রি করে আসছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ০৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। আটক আসামি ও জব্দকৃত আলামত সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার জোরারগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।