আতাউল গণি, অষ্টগ্রাম হাওরাঞ্চল থেকে
দিগন্ত জোড়া হাওরের বুকজুড়ে আবাদ হয়েছে উপশী নানান জাতের বোরো ধান। অনুকূল আবহাওয়া,আগাম বৃষ্টির কারণে ধানে কোনো পোকার আক্রমণ বা চিটা না থাকায় এবার বোরোর বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছে কৃষক। ধানের ছড়ার গঠন দেখে প্রাণ জুড়াচ্ছে কৃষক। বাতাসে দোল খাওয়া কাঁচা, আধা-পাকা ধানের ঘ্রাণে বিমোহিত তারা। চারায় ধান বের হয়ে আধাপাকা অবস্থায়। কিছুদিনের মধ্যেই ধুপ পড়বে ধান কাটার। প্রাকৃতিক কোনো বিপর্যয় না হলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক ফসল গোলায় তোলার স্বপ্ন বুনছে কৃষক। অষ্টগ্রামের বিভিন্ন হাওর ঘুরে কৃষকের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্যই পাওয়া যায়। এখন চলছে ধানের গোলা বাধা, ধান মাড়াই যন্ত্রপাতি ও ধান মাড়াই-শুকানোর মাঠ প্রস্তুতির কাজ। হাওরের বিভিন্ন কৃষক পল্লীতে এমন চিত্রই চোখে পড়ে। ধান কাটা শুরু হলে কিষাণ-কিষাণী ব্যস্ত সময় পার করবে ধান কাটা, মাড়াই-ঝাড়াই শুকানোর কাজে । অষ্টগ্রাম কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলায় ২৪ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। সে মতে ২ লাখ ২ হাজার ১৬৬ মেট্রিক টন ধান ও ১ লাখ ৩৪ হাজার ৭৭৭ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার অভিজিৎ সরকার এ প্রতিনিধিকে জানান, বিগত কয়েক বছর বৈরী ও আগ্রাসী আবহাওয়া, আলো-অন্ধকারের তারতম্যের কারণে ব্রিধান-২৮ এ ফলন বিপর্যয় হওয়ায় এবার এ জাতের ধান রোপন করেনি কৃষক। তবে উপশী,হাইব্রিড ও স্থানীয় জাতের ধান রোপন করায় অনুকূল আবহাওয়ার কারণে ফলন ভালো হয়েছে । প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক ফসল উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।