কলকাতা প্রতিনিধি-আসাদ আলী:

পৃথিবী ব্যাপী মহাত্মা ক্রিস্টোফার ফ্রেডরিকস স্যামুয়েল হ্যানিম্যানের ২৭০ তম জন্মজয়ন্তী পালন চলছে । সময়ের থেকে এগিয়ে থাকা এই মহামনিষীর যুগান্তকারী আবিষ্কার সমস্ত পৃথিবী ‘হোমিওপ্যাথি’ নামে জেনে থাকেন, যা বহু বছর আগেই জনস্বাস্থ্য ভাবনাকে আমূল পাল্টে দিয়ে সাধারণ মানুষকে ধ্রুবতারার মতো পথ দেখিয়ে নিয়ে চলেছেন এক সত্য সুন্দরের পথে । স্বাস্থ্য ভাবনায় এগিয়ে থাকা নয়, সম্পূর্ণ অন্য কারণে মেন স্ট্রিম হিসেবে এলোপ্যাথির জায়গা থাকলেও তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সহ নানা কদর্য রূপ ধীরে ধীরে মানুষের কাছে উন্মোচিত হচ্ছে । পাশাপাশি বিকল্প চিকিৎসা গুলিতে কঠিন জটিল ক্রনিক ও একিউট চিকিৎসায় সুন্দর ও মসৃণ ভাবে রোগী আরোগ্য ক্রমশ দীপ্ত সূর্যের মতো এগোতে থাকছে , বিকল্প চিকিৎসা তথা হোমিওপ্যাথিতে।

                 পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার ডুমুর জলা এলাকার স্বামীজি স্পোর্টিং ক্লাব অডিটোরিয়ামে স্যামুয়েল হ্যানিম্যানের ২৭০ তম জন্ম জয়ন্তী পালন ও জনস্বার্থে জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত সাংবাদিক সম্মেলন সেমিনার ও বিনামূল্যে রোগী পরীক্ষা ও চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা করেন অল বেঙ্গল হোমিওপ্যাথি ডক্টর ফোরাম । সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সংস্থার চেয়ারম্যান ডাক্তার কে এ মহিত । এন এম সি এর পরবর্তীকালে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের রেজিস্ট্রেশন পুনর্নবীকরণের যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে তার বিরোধিতা করা হয় । সমস্ত হোমিওপ্যাথি ডাক্তারদের আর্থিক অসংগতির কথা মাথায় রেখে বেসরকারি হোমিও ডাক্তারদের স্বাস্থ্য বীমার আওতায় আনা ও স্বাস্থ্য সাথী বীমায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা কে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানানো হয় । হোমিওপ্যাথি কলেজ গুলির ক্ষেত্রে সরকারি ফাইন্যান্সিয়াল গ্রান্ড গুলি ক্রমশ কমতে থাকার প্রতিবাদ করা হয় । 

                উপস্থিত ছিলেন সি সি আর এইচ এর প্রাক্তন পূর্বাঞ্চলীয় ডিরেক্টর ও হাওড়ার মেয়র ডঃ রথীন চক্রবর্তী, অধ্যাপক ডাক্তার সুজয় পালিত, ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল ক্লাবের অধ্যাপক ডাক্তার দেবীপ্রসাদ পাল,বিশিষ্ট হোমিও বিজ্ঞানী ডাঃ মিলন সেনগুপ্ত, ডাক্তার দেবাঞ্জন শাসমল সহ প্রায় দেড় শতাধিক হোমিওপ্যাথি ডাক্তার ও ছাত্র-ছাত্রী ।