শিবলী সাদিক খানঃ
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ময়মনসিংহ বোর্ডটি ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে এটি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দ হতে জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সহ সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
প্রতিষ্ঠা কালের দিক থেকে বাংলাদেশের সর্ব কনিষ্ঠ শিক্ষা বোর্ড। সাধারণ শিক্ষা বোর্ড হিসাবে এটি ৯ম ও সব বোর্ড মিলিয়ে এর অবস্থান ১১তম।
বোর্ডের অধিভুক্ত জেলা সমূহ ময়মনসিংহ বিভাগের জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোণা জেলা। বোর্ডের অন্তর্ভূক্ত স্কুল-কলেজের সংখ্যা প্রায় দুই হাজারের মতো।
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে কর্মকর্তা কর্মচারীদের অনিয়ম ঘুষ বানিজ্য সহ দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে উক্ত অফিস। কর্মকর্তা কি অফিস সহকারী সকলেই দুর্নীতির মাধ্যমে ঘুষ বানিজ্যের সাথে জড়িত। ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের কর্মরত অফিসার ও অফিস সহকারী এরা কেউ কিনছেন জমি, কেউ বুকিং দিচ্ছে ফ্ল্যাট, আবার কেউ কিনছেন গাড়ী, আবার কেউ করছে ৬ তলা বাড়ী।
আপনি কি ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের আওয়াতাধীন কলেজের অথবা স্কুলের সমস্যা নিয়ে চিন্তিত! তাহলে স্কুল শাখার পরিদর্শক দিদার এর সাথে যোগাযোগ করুন মোটা অংকের ঘুষের টাকার বিনিময়ে ভালো রিপোর্ট পেয়ে যাবেন। আপনার এলাকার কোন কলেজের সমস্যা তাহলে কলেজ শাখার পরিদর্শক প্রানেস এর সাথে যোগাযোগ করুন মোটা অংকের ঘুষের টাকার বিনিময়ে মন্দ থেকে ভালো রিপোর্ট পেয়ে যাবেন।
উক্ত শিক্ষা বোর্ডে অনিয়ম, ঘুষ, দুর্নীতি নিয়মে পরিণত হয়েছে। কমিটি অনুমোদন, নবায়ন, স্বীকৃতি, খাতা সরবরাহ, খাতা জমা নেয়া, স্টেশনারী খরচ, আপ্যায়ন খরচ, কেন্দ্র অনুমতি, অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্র বাতিল সহ নানাবিধ কাজে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে দুর্নীতির শেষ নাই।
কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের স্বার্থে আঘাত পরলে নিজেরাই নিজেদের মধ্যে মারামারিতে লিপ্ত হয়, ভয়ে কেউ বাথরুমে পালায় আবার কেউ বীরদর্পে দাম্ভিকতা দেখায়। মনে করে মুই কি হনুরে। উল্লেখিত কর্মকর্তাদের মধ্যে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের সচিব কিরিট দত্তের বিরুদ্ধে প্রায় ১০লাখ টাকার অডিট আপত্তির অভিযোগ রয়েছে।
মোফাশ্বের ডেপুটি কন্টোলার এর বিরুদ্ধে কয়েক রকমের দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ থেকে জানা যায় উক্ত মোফাশ্বের টাকার কুমির ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে সে অনেক টাকার মালিক, জামালপুর এর জিয়াউর রহমান স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রের বিষয়ে বেশ কয়েকজন এম.পি ও শিক্ষক নেতাদের কেন্দ্র বাতিলের ডিও লেটার থাকলে উক্ত মোফাশ্বের দেড় লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে উক্ত কেন্দ্র বহাল রেখেছে। এতে জামালপুরের অনেক নেতৃস্থানীয় লোকেরা বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। উক্ত মোফাশ্বের আপ্যায়ন সহ বিভিন্ন খরচের প্রক্রিয়ায় লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করে সে এখন কোটিপতি।
স্কুল পরিদর্শক দিদার কলেজ পরিদর্শক প্রানেস বিভিন্ন স্কুল কলেজ পরিদর্শন সহ বিভিন্ন পরিদর্শন প্রতিবেদন দেয়ার নামে ঘুষ বানিজ্য করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে কর্মরত অফিস সহকারী অনেকের বিরুদ্ধে অসৎ আচারণ ও শৃংখলা ভঙ্গ সহ ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।
অফিস সহকারী আনোয়ার, কাদীর, রুহুল, কবীর, মিজানুর রহমান, আব্দুল হিল রাফী, আলম, রুবায়েত সহ সকলের টেবিলে টেবিল ঘুষ দুর্নীতির সাথে জড়িত। খাতা জমা দিয়ে গেলে এরা শিক্ষকদের কাছ থেকে ঘুষ নেয়। খাতা সরবরাহ করার সময় এই সকল অফিস সহকারী শিক্ষকদের কাছ থেকে দুর্নীতি সহ বিভিন্ন অনিয়ম করে থাকে। সব মিলিয়ে উচ্চ শিক্ষা বোর্ডে ঘুষ দুর্নীতির শেষ নাই। এই সকল দুর্নীতির বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন পরবর্তী প্রতিবেদনে ।
সম্পাদক ও প্রকাশক- খায়রুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক - সোহেল রানা
সম্পাদকীয় কার্যালয়- ৫২২ আইনুল্লাহ স্কুল রোড, স্বল্পমারিয়া, বএিশ, কিশোরগঞ্জ।
০১৯১২৫৫০৭২৭,০১৭২৪৫৭৪২১৭
Copyright © 2025 কালের নতুন সংবাদ. All rights reserved.