আতাউর রহমান বাচ্চু
রুবিনা নামের এই মেয়েটি নান্দাইল উপজেলার মুসল্লী উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় গত বছরের ২৯ আগস্ট ২০২৩ ইং তাং অটো রিকশা করে স্কুলে যাওয়ার সময়। বিপরীত দিক থেকে আসা
MK সুপার যাত্রীবাহী বাস অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে সকল যাত্রী আহত হয় ঘটনাস্থলে মারা যায় দুইজন। রুবিনা বেঁচে গেলেও দীর্ঘ আট মাস ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে। বেঁচে গেলেও রুবিনা দৃষ্টি শক্তি হারায়। আজ ২১ মার্চ ২০২৪ ইং তাং বৃহস্পতিবার বাবার সাথে নিজ স্কুল আঙ্গিনায় আসে। এই সময় স্কুলের সামনে পঙ্গুত্ব বরণ করা রবিনা একটি প্লাস্টিক চেয়ারে বসে থাকে। চোখে আলো ফেরানোর জন্য সাহায্য চায়। তাকে ঘিরে ধরে সহপাঠীরা। কাউকে সে দেখতে পায় না। তবে অনেকের কণ্ঠ শুনে নাম বলতে পারে। বুক ভরা কান্না চেপে রাখতে পারেনি রুবিনা। শুধু বলে আমি দেখতে চাই স্কুলে যেতে চাই পড়তে চাই। আমাকে সাহায্য করে চিকিৎসার মাধ্যমে আমার চোখের আলো ফিরে পেতে সাহায্য করুন। এই বলে হাউমাউ করে কাঁদছে। গরীব বাবার সন্তান রুবিনা। ডাক্তার বলেছেন উন্নত চিকিৎসা করালে রুবিনা আবার চোখে দেখে পারবে।আসুন আমরা রবিনাকে সাহায্য করি। তার চোখের আলো ফেরানোর জন্য।