জয়নাল আবেদীন রিটন, ভৈরব প্রতিনিধি ॥
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া শাহ আলম নামে যুবককে গ্রেফতার করেছে ভৈরব থানা পুলিশ। আজ মঙ্গলবার ২০ ফেব্রয়ারি বিকালে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সফিকুল ইসলাম। আটককৃত শাহ আলম পেশায় বিভাটেক চালক। সে শহরের কালিপুর এলাকার মো. হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
আটককৃত চালক শাহ-আলম জানান, আমার শিশু বাচ্চাটি অসুস্থ ও আমি কিছু টাকা ঋণগস্থ তাই নাটক সাজিয়ে ব্যাটারি বিক্রি করে দিয়েছি। ভেবে ছিলাম মালিককে কিস্তিতে ব্যাটারি কিনে দিয়ে দিবো।
ব্যাটারী ক্রেতা আটককৃত কবির মিয়া বলেন, শাহ আলম ব্যাটারিগুলো তার বড় ভাইয়ের বলে জানিয়েছে। সে নাকি বিদেশ চলে যাবে তাই আমি ব্যাটারিগুলো কিনেছি।
এ বিষয়ে বিভাটেক মালিক বাবু মিয়া বলেন, আমি ড্রাইভারের মাধ্যমে বিভাটেক পেয়েছি। কিন্তু ব্যাটারি পায়নি। ড্রাইভার শাহ আলম নিজেই আমাকে সাথে নিয়ে গিয়ে রাত ১২ টায় বিভাটেকটি উদ্ধার করে দেয়। সেই পরে ব্যাটারি জরিমানা দিবে বলে আমাকে জানায়। শাহ আলম এর চিনতাইয়ে সঙ্গে জরিতের বিষয়টি আমার জানা ছিল না।
এ বিষয়ে ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সফিকুল ইসলাম জানান, ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে যোগাযোগ মাধ্যম ফেজবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায় একজন চালক শিমুলকান্দি ইউনিয়নের চাঁনপুর কোদালকাটি ব্রীজের নিচে পা বাধা অবস্থায় রয়েছে। এসময় মজিদ মিয়ার নামের এক ব্যক্তি তার সহযোগীদের নিয়ে তাকে উদ্ধার করে। পরে মজিদ মিয়া তার ফেজবুক আইডিতে লাইভ ভিডিও করে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবাইকে জানান দেয়। পরে বিষয়টি যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। চাঁনপুর এলাকায় সারা শরীরে কাদা মাখা অবস্থায় আহাজারি করে বলছে ছিনতাইকারীরা তাকে জখম করে তার বিভাটেক ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। বিষয়টি আমার কাছে সেন্দহ হচ্ছিল। পরে আমি ব্যক্তিগত ভাবে আমলে নেই। ভৈরবের পুলিশের ভাবখুন্ন হচ্ছে ভেবে আমি নিজ দায়িত্বে বিষয়টি তদন্ত শুরু করি। পরে বিভাটেক মালিকের বাড়িতে গিয়ে বিভাটেক পাওয়ার বিষয়টি জানতে পারি। কিন্তু ব্যাটারির বিষয়টি শুনে আরো গুরুত্ব দেই। রাতেই ড্রাইভার শাহ আলমকে থানায় নিয়ে আসি। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে স্বীকার করে টাকার প্রয়োজনে শরীরে কাদা মাটি মেখে পা বাধা অবস্থায় বিভাটেক ছিনতাইয়ের নাটক সাজাই। আসলে বিভাটেক ছিনতাইয়ের কোন ঘটনাই ঘটেনি। এটা ছিল সম্পুর্ণ সাজানো শাহ আলমের একটা নাটক। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ব্যাটারি বিক্রির টাকা ও ব্যাটারি উদ্ধারসহ কবির মিয়া নামের একজনকে আটক করেছি। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়ধীন রয়েছে।