প্রেস রিলিজ:
কিশোরগঞ্জের মিঠামইন থানা পুলিশ কর্তৃক পরকীয়ার জেরে খুন মামলার এজাহারনামীয় ৪ (চার) আসামীকে দ্রুততম সময়ে গ্রেফতার।
সূত্র : মিঠামইন থানার মামলা নং-০৬, তাং-২৫/০১/২০২৪ খ্রি:, ধারা:১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩৪১/৩২৩/৩০২/৫০৬/১১৪ পেনাল কোড।
মিঠামইন থানার কাটখাল ইউনিয়নের শান্তিপুরে গত ২৩/০১/২০২৩ খ্রি. প্রতিপক্ষের হামলায় মাছ ব্যবসায়ী মো.আব্দুল মালেক (৩৬) নিহত হয়। পরবর্তীতে নিহতের সহোদর মো: হামিদুর রহমান (৪৫), পিতা- মৃত আকবর আলী বাদী হয়ে মিঠামইন থানায় এজাহারনামীয় ১২ জন ও অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনের কথা উল্লেখ একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে সূত্রে বর্ণিত খুন মামলাটি রুজু করা হয়। প্রাথমিক তদন্ত ও স্থানীয়ভাবে জানা যায় ভিকটিম মো. আব্দুল মালেকের স্ত্রী সাহেদা বেগম (৩৫) এর সাথে এজাহারনামীয় ২নং বিবাদী আ: মালেক এর দীর্ঘদিনের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বেশ কিছুদিন ধরে এজাহারনামীয় ০২ নং আসামি আ. মালেক ভিকটিমের স্ত্রী সাহেদা বেগমকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে তিনি বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। ঘটনার দিন এজাহার নামীয় ০২ নং বিবাদী আ.মালেক স্থানীয় একটি বাজারে সাহেদা আক্তারকে মারধর করে। স্ত্রীকে মারধরের ঘটনাটি জানতে পেয়ে ভিকটিম মো. আব্দুল মালেক এর প্রতিবাদ করে এবং এর বিচার চেয়ে বিবাদী আ.মালেকের পরিবারের কাছে অভিযোগ দিতে বিবাদীপক্ষের পরিবারের লোকজন উক্ত ঘটনার সুরাহা না করে উল্টো ভিকটিমকে গালমন্দ করে হুমকি-ধামকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে ভিকটিম স্থানীয় লোকজনের কাছে ঘটনাটি জানিয়ে বিচার চাইলে ২নং বিবাদী তার সহযোগীদের নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে দা, লাঠি, লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেআইনী জনতাবদ্ধে ভিকটিমের বাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ করে ভিকটিমকে এলোপাথারিভাবে কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে জখম করে। ভিকটিমের স্ত্রী এগিয়ে আসলে আসামিরা তাকেও মারধর করে। এক পর্যায়ে বিবাদীরা মিলিতভাবে ভিকটিমকে মাটিতে শুইয়ে গলাটিপে ধরলে ভিকটিম অচেতন হয়ে যায়। ভিকটিমের স্ত্রীর ডাক-চিৎকারে বাদীসহ অন্যান্য লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। বাদী ও ভিকটিমের স্ত্রী অটোরিক্সাযোগে ভিকটিমকে চিকিৎসার জন্য কাটখাল বাজারে নেয়ার পথে বিবাদীগণ অটোরিক্সার গতিরোধ করে এবং ভিকটিমকে পুনরায় মারপিট করে বলে বাদী তার এজাহারে উল্লেখ করেন। অবশেষে মিঠামইন থানাধীন কাটখাল বাজারস্থ পল্লী চিকিৎসক নুরুল আমিনের নিকট ভিকটিমকে নিয়ে গেলে তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ভিকটিমকে মৃত বলে জানান।
উক্ত ঘটনায় মিঠামইন থানায় হত্যা মামলা রুজুর পর কাটখাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক (নি:) মুহাম্মদ শাহিদুল ইসলামকে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত করা হয়। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ পিপিএম (বার) মহোদয়ের নির্দেশে গঠিত একটি বিশেষ টিম অফিসার ইনচার্জ, মিঠামইন মো: আহসান হাবীব, পুলিশ পরিদর্শক (নি:) জনাব মুহাম্মদ শাহিদুল ইসলাম ও সঙ্গীয় অফিসার-ফোর্সের সহায়তায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৫/০১/২০২৪ তারিখ ২৩.১৫ ঘটিকার সময় হবিগঞ্জ জেলার আজমেরীগঞ্জ থানাধীন রায়লা এলাকা থেকে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করে এজাহারনামীয় বিবাদী ১। মো: হুমায়ুন (৩০) ২। মো: ওসমান মিয়া (৬০) এবং ২৬/০১/২০২৪ খ্রি: তারিখ ০২.৩০ ঘটিকার সময় মিঠামইন থানাধীন বৈরাটি বাহেরচর এলাকা হতে এজাহার নামীয় বিবাদী ৩। মো: সিরাজ মিয়া (৫৫), এবং ৪। মো: নাদিফ মিয়া ওরফে নাদিম (২৩),সর্ব সাং-শান্তিপুর, থানা-মিঠামইন, জেলা-কিশোরগঞ্জ দেরকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত এজাহারনামীয় বিবাদীদেরকে ইতিমধ্যে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য বিবাদীদেরকে তদন্ত সাপেক্ষে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।