ওয়াসীম কামাল
বাংলাদেশ দূতাবাস, লিবিয়াতে যথাযথ মর্যাদা এবং গুরুত্বের সাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ২০২৪ পালন করা হয়।দিবসটি পালনের শুরুতে লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্প স্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর দূতাবাসের হলরুমে মান্যবর রাষ্ট্রদূতের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ পর্বে দিবসটি উপলক্ষে প্রেরিত মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং কমিউনিটির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।
মান্যবর রাষ্ট্রদূত তাঁর সমাপনী বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির রাজনৈতিক ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন। বঙ্গবন্ধুর অদম্য নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে এবং তাঁর মুক্তির মধ্য দিয়ে বাঙালির বিজয় পূর্ণতা লাভ করে। বঙ্গবন্ধুর গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি সমৃদ্ধ, স্থিতিশীল ও স্বনির্ভর অর্থনীতির লক্ষ্য অর্জন করতে শুরু করে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু সুদূরপ্রসারী এবং বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে অতি অল্প সময়ের মধ্যে বিশ্ব স্বীকৃতি আদায়ের পাশাপাশি একটি আধুনিক সংবিধান প্রণয়ন করেন। মান্যবর রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস ও ঘটনা সম্পর্কে জানতে তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেন। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
পরিশেষে বঙ্গবন্ধু ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং বাংলাদেশের জন্য শান্তি ও মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দূতাবাস আয়োজিত অনুষ্ঠানে ত্রিপলীতে বসবাসরত বিভিন্ন স্তরের প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকগণ এবং কমিউনিটি স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেন।