মো: সোহেল মিয়া, হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা:
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে গত কয়েকদিন ধরে শীতের প্রকোপ ও ঘন কুয়াশা বেড়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের। তীব্র শীত আর এক টানা ঘন কুয়াশার কারণে যেন জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। তুষারাচ্ছন্ন বাতাস আর ঘন কুয়াশায়সহ হাড় কাপাঁনো শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে উপজেলার হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের সাথে গবাদিপশুও। এদিকে শিশু ও বৃদ্ধরাও ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি। এতে সর্দি, কাশি ও হাপানিজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব গ্রামাঞ্চলে বেড়ে গেছে। শ্রমজীবী পরিবারের মধ্য বয়সী ও বৃদ্ধরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে। উপজেলার বিভিন্নস্থানে ঘুরে দেখা যায়, ব্রহ্মপুত্রের চরাঞ্চলসহ নদী তীরবর্তী এলাকা জুড়ে নেমে এসেছে কনকনে শৈত্যপ্রবাহ। ফলে তীব্র শীত আর এক টানা ঘন কুয়াশার কারণে সাধারণ মানুষের জীবন যাপন একরকম অচল হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে জনপদ। ঘন কুয়াশার কারণে যাবাহনগুলোকে দুপুর পর্যন্ত হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে । প্রসঙ্গক্রমে, উপজেলার সাহেবের চর এলাকার আবদুল আলী, রমজান মিয়াসহ অনেকই জানান,আমরা খেটে খাওয়া মানুষ।প্রতিদিন কাজ না করলে আমাদের সংসার চলে না। গত কয়েকদিন যাবত ঘন কুয়াশা ও প্রচণ্ড ঠান্ডা বাতাসের কারণে আমরা কাজে যেতে পারছি না। কাজে গেলেও ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডার কারণে হাত পা অবশ হয়ে আসে। তাই কোনো প্রকার কাজকর্ম করতে পারছি না। এ অবস্থায় কিভাবে যে সংসার চালাবো বুঝতে পারছি না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসারদের সাথে কথা বলে জানা যায়,ঘন কুয়াশা তীব্র শীতের কারণে গত কয়েকদিন ধরে সর্দি, কাশি ও হাপানিজনিত রোগের রোগী বেশি আসছে। আগের তুলনায় হাসপাতালেও সর্দি, কাশি ও হাপানিজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তবে এ পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা সঠিকভাবে চেষ্টা করছেন তাদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য। সব মিলিয়ে ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের হোসেনপুরের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এ ভুক্তভোগীরা সরকারী জরুরি পৃষ্টপোষকতার দাবি জানান।