প্রেস বিজ্ঞপ্তি
র্যাব-১৪ এর সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ কর্তৃক অভিযানে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামী হুমায়ুন মিয়া(৩০) কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন সুন্দিরবন মাইজখাপন সাকিনের নিবাসী ভিকটিম খোকন মিয়া(৪৫), পিতা-মৃত লাল মিয়া প্রায় ১৭ বছর পূর্বে একই সাকিনের মৃত দুলাল মিয়ার মেয়ে মোছাঃ হোসনা বেগমকে বিবাহ করে এবং তাদের সংসারে দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। প্রায় দুই তিন মাস পূর্ব হইতে ভিকটিম খোকন মিয়া ও তাহার স্ত্রী মোছাঃ হোসনা বেগমের মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য চলে আসায় প্রায় দুই মাস পূর্বে মোছাঃ হোসনা বেগম তাহার সন্তানদেরকে স্বামীর ঘরে রেখে তার বাবার বাড়ীতে চলে যায়। ভিকটিম খোকন মিয়া তার সন্তানদেরকে তার বোন মোছাঃ শিউলি আক্তারের কাছে দেখভালের জন্য রেখে সে ঢাকা শহরে গাড়ী চালাত এবং প্রতি সপ্তাহে তার সন্তানদের দেখার জন্য সে গ্রামের বাড়ীতে আসত। গত ৩০/১১/২০২৩খ্রি. রাত ৮.০০ ঘটিকার সময় ভিকটিম খোকন মিয়া তার গ্রামের বাড়ীতে আসার সংবাদ পেয়ে ঐ দিন রাত ১১.০০ ঘটিকার সময় মোছাঃ হোসনা বেগম তার স্বামী ভিকটিম খোকন মিয়াকে খবর দিয়া তার বাবার বাড়ীতে নিয়ে আসে। রাতে ভিকটিম খোকন মিয়া নিজ বাড়িতে ফিরে না আসায় ভিকটিমের খোজ নেওয়ার জন্য ভিকটিমের বোন মোছাঃ শিউলি আক্তার ভিকটিমের ছেলে মোঃ ফেরদৌস মিয়া(১৩) কে পরদিন গত ০১/১২/২০২৩খ্রি. তারিখ সকাল অনুমান ৬.০০ ঘটিকার সময় মোছাঃ হোসনা বেগমের বাপের বাড়ীতে পাঠায়। মোঃ ফেরদৌস ঘটনাস্থল কিশোরগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন সুন্দীরবন ভিকটিমের শ^শুর বাড়ী অর্থাৎ আসামীদের বাড়ীতে আসিয়া দেখতে পাই যে, আসামী মোঃ হুমায়ুন মিয়া(৩০) এবং আসামী রহিম মিয়া(৬৫) সহ অন্যান্য আসামীরা ভিকটিমকে আটক করিয়া দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র দ্বারা মারাত্নকভাবে মারপিট করতেছে। তখন ভিকটিমের ছেলে মোঃ ফেরদৌস মিয়া তাৎক্ষনিক বাড়ীতে এসে ভিকটিমের বোন মোছাঃ শিউলি আক্তার সহ আত্নীয়স্বজনদেরকে ঘটনার বিষয়ে জানালে, তারা দ্রুত ভিকটিমের উদ্ধারের জন্য আসামীদের বাড়ীতে যায়। কিন্তু আসামীগণ তাদেরকে দেখে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের বাড়ী হতে তাড়িয়ে দেয়। ভিকটিমের পরিবারের লোকজন ভিকটিমকে উদ্ধার করতে না পেরে নিরুপায় হয়ে সদর থানায় এসে মৌখিকভাবে থানা পুলিশের নিকট উক্ত ঘটনার বিষয়ে অবহিত করে। অতঃপর থানা পুলিশের সহায়তায় ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য রওনা হয়ে পথে মধ্যে জানতে পারে যে, ভিকটিমকে আসামীরা আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে ফেলে রেখে চলে গেছে। অতঃপর তারা সদর হাসপাতালে গিয়ে ভিকটিমকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বোন মোছাঃ শিউলি আক্তার বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ সদর থানায় ০১টি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যা কিশোরগঞ্জ সদর থানার মামলা নং-৩, তারিখ-০২/১২/২০২৩, ধারা-৩৪২/৩০২/৫০৬/১১৪/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০। বর্ণিত বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রচারিত হলে দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং আসামীরা গ্রেফতার এড়াতে ঘটনার পর পরই এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়। উক্ত আসামীদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারী এবং তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে আসামীদের অবস্থান জানার চেষ্টা করে এবং তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন গাইটাল চরপাড়া এলাকায় আসামী মোঃ হুমায়ুন মিয়া(৩০) এর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে গত ২২/১২/২০২৩খ্রি. তারিখ ১৭.০০ ঘটিকার সময় কিশোরগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন গাইটাল চরপাড়া এলাকায় র্যাব-১৪, সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের একটি চৌকশ আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে উক্ত মামলার আসামী মোঃ হুমায়ুন মিয়া(৩০), পিতা-আব্দুল গণি, সাং-সুন্দিরবন মাইজখাপন, থানা ও জেলা-কিশোরগঞ্জ’কে গ্রেফতার করে। উক্ত হত্যার ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের জন্য র্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক- খায়রুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক - সোহেল রানা
সম্পাদকীয় কার্যালয়- ৫২২ আইনুল্লাহ স্কুল রোড, স্বল্পমারিয়া, বএিশ, কিশোরগঞ্জ।
০১৯১২৫৫০৭২৭,০১৭২৪৫৭৪২১৭
Copyright © 2025 কালের নতুন সংবাদ. All rights reserved.