নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জ টু পাকুন্দিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের কোদালিয়া নিদুর বাড়ি হয়তে জুগনিপাড়া ভায়া চিলাকাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার গ্রামীণ কাঁচা সড়কটি বেহাল ও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। বর্ষা কালে
হাঁটু সমান কাদা, পানি আর বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েছেন যানবাহনসহ ওই এলাকার কয়েক হাজার মানুষ।
সরজমিনে দেখা যায়, এলজিইডির অধীন গ্রামীণ এ কাঁচা সড়কে বড় বড় গর্ত, হাঁটু সমান কাদা, আবার কিছু জায়গায় রাস্তা ভেঙ্গে ব্যক্তি মালিকানা ফিসারী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
রাস্তার কাদা পানিতে সাঁতার কেটে খাবার খাচ্ছে কতক হাঁস। গর্ত কাদায় রিকসা, অটোরিকসা, বাই-সাইকেল সহ যানবাহন পড়ে অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা।
একটু বৃষ্টি হলে একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায় এ সড়ক।
এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন চিলাকাড়া , খয়ারকালী, পাঠাবুগা, মাগুরাপাড়া সহ আশপাশের অন্তত ৪টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ কিশোরগঞ্জ জেলা সদর ও পাকুন্দিয়া উপজেলা গুরুত্বপূর্ণ কাজে মানুষ চলাচল করেন।
এলাকাটি বিলঅঞ্চল হওয়ায় কৃষিপ্রধান এলাকা হিসেবে পরিচিত। বর্ষাকালে রাস্তাটির এমন বেহাল দশার কারণে কৃষকের উৎপাদিত পণ্য ও মাছ বাজারজাতকরণে চরম দুর্ভোগে পড়েন স্থানীয় মৎস্যজীবী ও কৃষকেরা।
এ বিষয়ে চিলাকাড়া বন্দে বাড়ি মোহাম্মদ আলী (৯০),মাগুরা পাড়া নুরু উদ্দিন (৫৫) সহ অনেকেই বলেন, চলাচলে আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। এ রাস্তা দিয়ে হাঁটলে পা দুই ফুট মাটির নিচে চলে যায়। অসুস্থ রোগিদের হাসপাতালে নেওয়াসহ কৃষিপণ্য পরিবহন দুষ্কর হয়ে পড়ে। কোদালিয়া গ্রমে মোঃ আরমান বর্তমান এমপি নুর মোহাম্মদ আইজি চিলাকাড়া রাস্তা বেহাল অবস্থা দেখে বলছেন রাস্তা উন্নয়ন করবেন, উন্নয়ন করবেন দূরের কথা এক কোদাল মাটিও ভরাট করেনি আশায় আশায় আমাদের ভোগান্তি বেড়ে গেছে।
সরকারি দপ্তরে ধরনা দিয়েও তদবির করে কোন কাজ হচ্ছে না
দুর্ভোগের কথা ভেবে রাস্তাটি দ্রুত পাকাকরণে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
শোয়েব রাসেল স্বাস্থ্যকর্মী বলেন, আমি এ পথ দিয়ে প্রায়ই চলাফেরা করি। গ্রামীণ এ পথটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই পথ ব্যবহার করে এই এলাকার কৃষকেরা তাঁদের উৎপাদিত পণ্য বাজারে নিয়ে যান। কিন্তু রাস্তাটি বেহাল থাকায় বর্ষা মৌসুমে তাঁদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। রাস্তাটি সংস্কার বা পাকা করা হলে স্থানীয় মানুষের দুর্ভোগ কমবে।
চণ্ডীপাশা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. শামছুদ্দীন বলেন, আমার ইউনিয়নের অধিকাংশ রাস্তা ইটের সোলিং ও পিচ হয়েছে। অতি দ্রুত এ রাস্তাটি পাকা করা হবে।’ , সড়কটি পাকাকরণের জন্য উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা এলজিইডি প্রকোশলী যুবায়েদ হোসেন জানান, গ্রামীণ কাঁচা রাস্তা হওয়ায় বৃষ্টির পানিতে বেহাল অবস্থা হয়ে জনদুর্ভোগ হচ্ছে। নতুন প্রকল্প পেলে সড়ক উন্নয়নে অগ্রাধিকারভিত্তিতে কাজ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক- খায়রুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক - সোহেল রানা
সম্পাদকীয় কার্যালয়- ৫২২ আইনুল্লাহ স্কুল রোড, স্বল্পমারিয়া, বএিশ, কিশোরগঞ্জ।
০১৯১২৫৫০৭২৭,০১৭২৪৫৭৪২১৭
Copyright © 2025 কালের নতুন সংবাদ. All rights reserved.