গোলাম কিবরিয়া পলাশ, ময়মনসিংহঃ
ময়মনসিংহ সদরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত (১৯ অক্টোবর) রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে উপজেলার অষ্টধার ইউনিয়নের রেহাই তারাপুর গ্রামে উক্ত ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় ধর্ষণের শিকার কিশোরীর ভগ্নিপতি বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করছেন।

মামলার লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে- সদর উপজেলার অষ্টধার ইউনিয়নের রেহাই তারাপুর গ্রামের মোঃ বিশু মিয়ার কিশোরী কণ্যা - (১৫) কে দীর্ঘদিন যাবৎ একই গ্রামের আলম খা'র বখাটে পুত্র বিভিন্নসময় কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করে আসছিলো।

ভিকটিম কিশোরী তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বখাটে ইউছুফ আলী তার গোপন লালসা মিটাতে সময়ের সুযোগ সন্ধানে থাকে। ঘটনার দিন ১৯ অক্টোবর ধর্ষিতার বাবা বিষু মিয়া ও মাতা হেলেনা খাতুন জরুরী প্রয়োজনে ঢাকায় অবস্থান করলে ভিকটিম (১৫) প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে দরজা খুলে বাহিরে বেরোলে পূর্ব হতে উৎপেতে থাকা উক্ত গ্রামের আলম খা'র বখাটে পুত্র ইউছুফ আলী (২০) কৌশলে ঘরে ঢুকে লুকিয়ে থাকে।

পরে ভিকটিম ঘরে ডুকতেই ইউছুফ তাকে মুখ চেপে ধরে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে, একসময় ধর্ষিতার গোংরানির শব্দ শুনতে পেরে ধর্ষিতার বৃদ্ধা দাদি ডাক- চিৎকার শুরু করলে করলে শুরু করলে ধর্ষক ইউছুব আলী কৌশলে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে গত ২১ অক্টোবর ধর্ষিতা তার পরিবারের লোকজন নিয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানায় হাজির হলে থানার তদন্ত ওসি আনোয়ার হোসেন ধর্ষিতার জবানবন্দি শুনে তাৎক্ষিক একটি ধর্ষণ মামলার এজাহার দিতে বললে, ধর্ষিতার ভগ্নিপতি বাদী হয়ে গত ২১ অক্টোবর ধর্ষক ইউছুফ আলী(২০)কে আসামি করে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলার লিখিত এজাহার দয়ের করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার এস আই (নিঃ)হারুনর রশীদ এর সাথে এই প্রতিবেদক মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান আমরা ভিকটিমের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ধর্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে ধর্ষক গ্রেফতার এড়াতে গা-ঢাকা দিয়েছে বলে স্থানীয় একটি সূত্র এই প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছে।