মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি
পার্বত্য চট্টগ্রামে ও বান্দরবানসহ সারাদেশে পাচারকারী দূর্লভ মাদক আফিম উদ্ধারসহ কারবারি চিংহ্লামং মারমা আটক। দূর্লভ মাদক আফিম পাচারকালে বান্দরবান সদরের হাফেজ ঘোনা এলাকা থেকে প্রায় তিন কোটি টাকা মূল্য মানের ৩.২ কেজি আফিম উদ্ধারসহ মাদক কারবারী চিংহ্লামং মারমা র্যাব-১৫ এর হাতে আটক।
১৬ অক্টোবর,গতকাল বিকেলে বান্দরবানের বারমাইল হতে
সদর ইউনিয়নের রুমা স্টেশন সংলগ্ন হাফেজ ঘোনা এলাকায় অস্থায়ী চেকপোস্ট তল্লাশী অভিযানে আসামি চিংহ্লামং মারমা (৬০),কে আটক করা হয়।
আটককৃত কারবারীর পরিচয় চিংহ্লামং মারমা (৬০),পিতা-আপ্রুমং মারমা, সাং-মিনিঝিড়িপাড়া, থানা-রুমা, জেলা-বান্দরবান।
গোপন সূত্রে,আফিমের একটি বড় চালানসহ কারবারী বান্দরবানের বারমাইল হতে বাসযোগে বান্দরবান শহরের দিকে আসছে তথ্যে,১৬ অক্টোবর,গতকাল বিকেলে সদর ইউনিয়নের রুমা স্টেশন সংলগ্ন হাফেজ ঘোনা এলাকায় রাস্তার উপর অস্থায়ী চেকপোস্ট তল্লাশী অভিযানে
সন্দেহজনকভাবে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে তাকে আটক করা হয়।
আটকের সময়,থানচি থেকে বান্দরবানগামী সুগন্ধা পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস (যাহার রেজিঃ নং-চট্ট মেট্রো-ব-০৫-০১৬৫) থামানোর জন্য র্যাবের আভিযানিক দল সংকেত দিলে র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে একজন ব্যক্তি হাতে পলিব্যাগসহ তাকে আটক করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে,আটককৃত ব্যক্তির দেহ ও সাথে থাকা পলিব্যাগ তল্লাশী করে তার হেফাজত হতে সর্বমোট ০৩ কেজি ২০০ গ্রাম আফিম উদ্ধার করা হয়। কথিত আছে উদ্ধারকৃত অবৈধ আফিম এর আনুমানিক মূল্য প্রায় তিন কোটি দুই লক্ষ টাকা।
জিজ্ঞাসাবাদে,গ্রেফতারকৃত মাদক চোরকারবারীসহ দূর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে আফিমের একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে মাদক কারবারীরা। এই সিন্ডিকেটটি মূলত বান্দরবান কেন্দ্রিক একটি মাদক চোরাকারবারী চক্র এবং বান্দরবান, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে তাদের এজেন্ট রয়েছে। তারা দূর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্য কথিত আফিম উৎপাদন’সহ প্রক্রিয়াজাত করে পাইকারী মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রয় করে আসছিল বলে জানা যায়।
আটক চিংহ্লামং মারমা একজন চিহ্নিত মাদক কারবারী এবং কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী পার্বত্য বান্দরবান কেন্দ্রিক আফিম ক্রয়-বিক্রয় এবং দীর্ঘ দিন যাবৎ মাদক চোরাচালানের সাথে জড়িত। সে বান্দরবানের পাহাড়ী মাদক সিন্ডিকেটের সাথে সার্বিক সমন্বয় করে দূর্গম পাহাড়ী অঞ্চল এবং ক্ষেত্র বিশেষ পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে আফিম নিয়ে আসতো। অতঃপর অবৈধ পথে পাচারকৃত মাদক নিজের হেফাজতে মজুদ’সহ দূর্গম পাহাড়ি অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রাখত। পরবর্তীতে আফিমসহ অন্যান্য মাদকের চালান ভাগ ভাগ করে বড় অংকের টাকার বিনিময়ে পর্যায়ক্রমে বান্দরবানসহ পাশ্ববর্তী জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে এবং চাহিদা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নির্ধারিত মাদক কারবারী এজেন্টদের নিকট পাচার করে থাকে। এক্ষেত্রে গ্রেফতারকৃত চোরাকারবারী প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে বিভিন্ন কৌশলী পন্থায় শরীরের মধ্যে মাদক বেধে,গাড়িতে সেট করে, ব্যাগের ভিতরে সু-কৌশলে লুকায়িত করে এবং যাত্রী সেজে শহরমুখী বিভিন্ন পরিবহনের মাধ্যমে এসকল মাদক বহন করতঃ পাচার করতো বলে জানা যায়।
১৫ ফেব্রুয়ারি-২৩ সদর থানাধীন কুহালং কেমলং ছড়া এলাকা থেকে ৩.৪ কেজি এবং গত ১৪ জুলাই-২৩পৌরসভার বান্দরবান বাজার এলাকাসহ ঝুমুর মার্কেটস্থ পূর্ব পশ্চিমে লম্বা হোটেল অথিতি থেকে ৩.৮ কেজি আফিম উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। আফিম দূর্লভ ও দামী মাদক, যা অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল ও উচ্চ বিলাসী মাদক সেবীদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। বিশেষ করে দেশের যুব সমাজসহ নাগরিকদের এই ভয়াল মাদকের থাবা থেকে মুক্ত রাখতে র্যাবের প্রাণান্ত প্রয়াস।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারী আফিমের উৎস ও গন্তব্য সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে। তদন্তের স্বার্থে এ বিষয়গুলো অপ্রকাশিত থাকছে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।প্রতিনিয়ত মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে। তথ্য নিশ্চিত করেছেন,মোঃ আবু সালাম চৌধুরী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া)।
সম্পাদক ও প্রকাশক- খায়রুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক - সোহেল রানা
সম্পাদকীয় কার্যালয়- ৫২২ আইনুল্লাহ স্কুল রোড, স্বল্পমারিয়া, বএিশ, কিশোরগঞ্জ।
০১৯১২৫৫০৭২৭,০১৭২৪৫৭৪২১৭
Copyright © 2025 কালের নতুন সংবাদ. All rights reserved.