স্টাফ রিপোর্টার ঃ পরিবার আর বন্ধু স্বজনের চোখের জলে মিশ্রিত ফুলেল শ্রদ্ধায় চিরবিদায় নিলেন প্রবীণ শিক্ষাবিদ মরহুম আবু খালেদ পাঠান। গতকাল বৃহস্পতিবার বাদ যোহর শহীদি মসজিদে নামাজে জানাযা শেষে সতাল পারিবারিক কবর স্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তিনি।
এর আগে মরহুমের প্রিয় কর্মস্থল কিশোরগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সাহিত্যিক-সংস্কৃতি, নাট্যব্যক্তিত্ব, শিক্ষক, ছাত্র, বন্ধু-সতীর্থসহ বিভিন্ন সংগঠন নেতাকর্মীরা শেষ শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ও ফুলেল বিদায় জানান। এ সময় জেগে ওঠো নরসুন্দা সাহিত্য সংগঠনের পক্ষে প্রধান পৃষ্ঠপোষক আহমেদ উল্লাহ ও নির্বাহী সস্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো.আবুল কাশেমের নেতৃত্বে সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা ফুলদিয়ে শেষ শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। এছাড়াও গুরুদয়াল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, প্রবীণ সংগঠন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংৃস্কৃতি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শেষ শ্রদ্ধা জানান।
প্রয়াত আবু খালেদ পাঠানের মেয়ে নিশাত পাঠান ও ছেলে ডা.নৌশাদ কায়সার পাঠান বলেন, ‘আমাদের বাবার মৃত্যুটা অপ্রত্যাশিত। তিনি সমাজের জন্য আরও অনেক কিছু করতে চেয়েছিলেন। তিনি মৃত্যুর আগমুহুর্ত পর্যন্ত বিভিন্ন সামাজিক সাংৃস্কৃতি সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। আপনারা আমার বাবার আত্মার শান্তির জন্য দোয়া করবেন।’
উল্লেখ্য, গত বুধবার ১১ অক্টোবর দুপুর ১.২০ মিনিটে ঢাকার আনোয়ার খান মর্ডাণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে স্ত্রী, দুই ছেলে, দুই মেয়ে, নাত-নাতনী, আত্মীয় স্বজনসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। মরহুম আবু খালেদ পাঠানের মৃত্যুতে কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সুশীল সমাজের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।