1. admin2@kalernatunsangbad.com : admin : Admin
  2. admin@kalernatunsangbad.com : Khairul Islam :
সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০১:১২ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
সাম্য হত্যার প্রতিবাদে কটিয়াদীতে ছাত্রদলের মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুড়িগ্রামের রাজারহাটে প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট করে শিক্ষক বরখাস্ত শাওমির ঈদ ক্যাম্পেইনে জয়ীদের হাতে মেগাপুরস্কার তুলে দিলেন ক্রিকেট তারকা তামিম ইকবাল কটিয়াদীতে ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় বিক্ষোভ বেলাবতে বজ্রপাতে এক কৃষকের মূত্যু লিবিয়া থেকে ৮২ জন নাগরিককে সরিয়ে নিয়েছে তুরস্ক জেন্ডার সমতা ও জলবায়ু জোটের অর্ধবার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হোসেনপুরে তীব্র তাপদাহে তালের শাঁসেই স্বস্তি: বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে এডভোকেট জিয়া হাবিব সংবর্ধিত
শিরোনাম
সাম্য হত্যার প্রতিবাদে কটিয়াদীতে ছাত্রদলের মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুড়িগ্রামের রাজারহাটে প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট করে শিক্ষক বরখাস্ত শাওমির ঈদ ক্যাম্পেইনে জয়ীদের হাতে মেগাপুরস্কার তুলে দিলেন ক্রিকেট তারকা তামিম ইকবাল কটিয়াদীতে ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় বিক্ষোভ বেলাবতে বজ্রপাতে এক কৃষকের মূত্যু লিবিয়া থেকে ৮২ জন নাগরিককে সরিয়ে নিয়েছে তুরস্ক জেন্ডার সমতা ও জলবায়ু জোটের অর্ধবার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হোসেনপুরে তীব্র তাপদাহে তালের শাঁসেই স্বস্তি: বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে এডভোকেট জিয়া হাবিব সংবর্ধিত

হোসেনপুরে টানা বর্ষনে দুই শতাধিক মৎস্য খামার পানিতে তলিয়ে ৮ কোটি টাকার ক্ষতি

  • প্রকাশ কাল শনিবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৩
  • ১৮৪ বার পড়েছে


সঞ্জিত চন্দ্র শীল
হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ):প্রতিনিধিঃ
গত দুই দিনের টানা ভারী বৃষ্টির পানিতে ব্রহ্মপুত্রের চরাঞ্চলসহ তলিয়ে গেছে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার বেশিরভাগ এলাকা। ফলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এখনো পানিবান্দি আছেন কয়েক হাজার মানুষ। তলিয়ে গেছে শতশত হেক্টর ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট। এতে সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকার বয়স্ক মানুষেরা বলেছেন এ যেন ১৯৮৮ সনের বন্যাকেও হার মানিয়েছে। গত ৩০ বছরেও সারা উপজেলায় এত পানি কখনো দেখা যায়নি ৷ স্থানীয় লোকজন জানান,শরৎকালের এমন বৃষ্টি যেন অভিশাপরুপে হাজির হয়েছেন হোসেনপুর এলাকার কৃষকদের কাছে। পানিতে তলিয়ে গেছে ১২ শত ৮০ হেক্টর আমন ধানের মাঠ, শাক সবজির বাগান৷ এ উপজেলার ছোট বড় প্রায় দুই শতাধিক মৎস্য খামার ও পুকুর বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে আনুমানিক ৮ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা দাবি করেন। তারা বলেন এবার সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছেন স্থানীয় মৎস্য চাষীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হোসেনপুর পৌর এলাকার সরকারি অফিসারদের বাসভবন, হাসপাতালসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট ও নিচু এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টির সঙ্গে ড্রেনের নোংরা পানিও বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়িতেও ঢুকে পড়েছে।এতে বিপাকে পড়েছেন সেসবৎ এলাকার বাসিন্দারা। এছাড়াও উপজেলার সিদলা এলাকায় হোসেনপুর-দেওয়ানগঞ্জ সড়ক ভেঙে পানি ওপারে সরে যাচ্ছে।পৌর এলাকাসহ কয়েকটি এলকায় বাসা বাড়িতে পানি হাঁটুর বেশি ছাড়িয়ে গেছে।
জানা যায়,গত দুই দিনের টানা বৃষ্টিপাতের সাথে সারাদিন ও সারারাত অতিভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে।যা গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত অতিভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত ছিল। স্থানীয়দের অভিযোগ, নানা কারণে এলাকার বিভিন্ন ছোট-বড় পুকুর নিচু জায়গা ভরাট হয়ে পানি যেতে পারছেনা। তাই এবার বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও রাস্তায় পানি ঢুকে পড়ে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। এসময় উপজেলার ধূলজুরী গ্রামের রিটন মিয়া বলেন, আমি আমার বয়সে এমন অতিভারী বৃষ্টি দেখিনি। গত দুই দিন সারাদিন ও সারারাত পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছে। এতে বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তার ৫ টি পুকুরের সব মাছ বিলের পানির সাথে মিশে গেছে। তার মতো উপজেলার ঢেকিয়া গ্রামের সারোয়ার আলম নয়ন, পাইকশা গ্রামের মোঃ রেনু মিয়া, দ,পুমদী গ্রামের মোঃ হাফিজুল হক,মোঃ মিজানুর রহমান রিদয় সহ দুই শতাধিক মৎস্য খামারির সব মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এতে তারা মোটা অংকের লোকসানের মুখে পড়েছেন। এদিকে, বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়া বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করছেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ সোহেল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিন্দ্য মন্ডল, কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এ কে এম শাহজাহান কবির
সহ সংশ্লিষ্টরা।তারা ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক ও মৎস্য খামারি ও অসহায় পরিবারদের সহযোগিতার পাশাপাশি সমবেদনাও জানাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জানান,
গত দুই দিনের টানা ভারী বর্ষণে হোসেনপুর উপজেলার ছোট বড় প্রায় পায় দুই শতাধিক মৎস্য খামার ও পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে গিয়েছে । এছাড়া জেলার ১৩ উপজেলায় ৬ হাজার ৬৪১টি পুকুর ও ফিশারির প্রায় ৩৭ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। অবকাটামোগত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৮ কোটি টাকার। এতে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন জেলার সাড়ে ৩ হাজার মাছ চাষি। ভেসে যাওয়া মাছের মধ্যে শিং, পাবদা, রুই, কাতল, পাঙ্গাসসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রয়েছে বলে জানান স্থানীয় মাছ চাষিরা।গত শুক্রবার (৬ অক্টোবর) রাতে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করে আরো বলেন বিভিন্ন এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়তে পারে। তাই জেলা মৎস্য বিভাগ এবিষয়ে মৎস্য খামারিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও ব্যবস্থা নেব।

শেয়ার করুন

অন্যান্য সংবাদসমূহ


প্রযুক্তি সহায়তায় BTMAXHOST