আবু হানিফ পাকুন্দিয়া :-পাকুন্দিয়া উপজেলা দুই হাজার মোটরসাইকেল, শতাধিক মাইক্রোবাস, পিকআপ ভ্যান, নিয়ে বিশাল শোডাউন করেন পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনু। তিনি কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী ও পাকুন্দিয়া) আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন চান। সেই প্রত্যাশা তিনি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় গণসংযোগ করছেন । দীর্ঘদিন ধরে পাকুন্দিয়া কটিয়াদির বিভিন্ন ইউনিয়ানে, এলাকায় খেলা, ওয়াজ মাহফিল, সভা সমাবেশ করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি
১০ কিলোমিটার শোভাযাত্রায় কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ হাজার নেতা কর্মী-সমর্থক অংশ নেয়।
আজ বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে পাকুন্দিয়া উপজেলা সদর ঈদগাহ মাঠ হতে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে মোটরযান শোভাযাত্রা শুরু করেন পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম (রেনু) । প্রায় ১০ কিলোমিটার নির্বাচনী শোডাউনে ব্যানার-ফেস্টুনসহ বাদ্যযন্ত্র নিয়ে অংশ নেয় তাঁর কর্মিবাহিনী। এ সময় রাস্তার দুই পাশে শত শত মানুষ হাত নেড়ে রফিকুল ইসলাম রেনুকে অভিনন্দন জানায়।
তিনিও এ সময় ছাদ খোলা মাইক্রোবাস থেকে হাত নেড়ে মানুষের অভিবাদনের জবাব দেন।
পাকুন্দিয়া সদর ঈদগাহ মাঠ থেকে শুরু হয়ে মির্জাপুর বাজার, মঠখোলা বাজার কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ড এলাকা হয়ে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কের কালিয়াচাপড়া বাজার, পুলেরঘাট হয়ে গাড়িবহরটি আবার পাকুন্দিয়া উপজেলার হোসেন্দী বাজারে গিয়ে শেষ হয়।
শোডাউনে অংশ নেওয়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানায়, রফিকুল ইসলাম রেনু পরিক্ষিত নেতা, তিনি পাকুন্দিয়া উপজেলা ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি, যুবলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন, তিন বারের পাকুন্দিয়া সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং তিন বারের পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনু, দলের দুঃসময়ে হাল ধরেছেন তিনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে হত্যার পরে পাকুন্দিয়ায় তাঁর নেতৃত্বে প্রতিবাদ মিছিল করেন, শেখ হাসিনার উপর ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট গ্রেনেট হামলার পাকুন্দিয়ায় তার নেতৃত্ব মিছিল করে। তিনি সব সময় দলের জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি দুই উপজেলার মানুষের মন জয় করেছেন। তাদের দাবি, মনোনয়ন পেলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী যিনিই হন না কেন রেনুর জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সাবেক আইজিপি, সচিব নূর মোহাম্মদ। তিনি ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
তিনি এবার দলের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চান। সে লক্ষ্যে বর্তমান সংসদ সদস্যও মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন, করছেন সভা-সমাবেশ।
এ ছাড়াও কিশোরগঞ্জ-২ আসন থেকে এবারও মনোনয়ন পেতে মরিয়া হয়ে কাজ করছেন সাবেক সাংসদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এডভোকেট সোহরাব উদ্দিন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য ও এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান বাদল, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাহার আকন্দ।
তাঁরা এরই মধ্যে নিজেদের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে এলাকায় বিভিন্ন ভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।
এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ আফজল, ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয় শাখা ছাত্র লীগের সাবেক সদস্য ও বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের সাবেক চেয়ারম্যান এ কে এম দেলোয়ার হোসেন ( এফসি এমএ) , স্বাস্থ্য বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা: দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আসাদুজ্জামান চৌধুরী, সাবেক স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মান্নান, প্রমুখ।